ঝাড়ূতে বিবর্ন চারু
মোঃ আহছান উল্লাহ,ঃ
বরিশালের গৌরনদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের নানা বিরম্ভনা। অভিযোগ পাওয়া গেছে চারুকলা পরিক্ষায় পাশ নাম্ভার পাওয়ার জন্য স্কুল কতৃপক্ষকে দিতে হয় ঝাড়ূ,পাখা,ফুলের টপ অথবা টাকা। বিষয়টি নিয়ে উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
রবিবার সরেজমিনে ঘুরে এ সব তথ্য জানাগেছে .গৌরনদী উপজেলার উত্তর পালরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতিয় শ্রেনী ও চতুর্থ শ্রেনীর কোমলমতি শিক্ষার্থী মিথিলা,জাহিদ,রায়হান,রাসেদ জানান আমাদের আজ (রবিবার) চারুকলা পরিক্ষা এজন্য ঝাড়– নিতে বলেছে সারেরা (শিক্ষক)। হয়ত ঝাড়– না হয় পাখা নায় হয় ফুলের টপ আর এ গুলো দিতে না পারলে নগদ ২৫/৩০ টাকা দিতে হয় পরিক্ষায় পাশ করার জন্য।
উত্তর পালরদী গ্রামের শিক্ষার্থী অবিভাবক মানছুরা বেগম,হেপী বেগম জানান পরিক্ষায় পাশ করার জন্য ঝাড়– পাখা দিতে না পাড়লে নগদ ২৫/৩০ টাকা দিতে হয় এটা কোন নিয়ম বুঝিনা। তারা আরো জানায় সরকারত সব দেয় তার পড়েও টাকা লাগবে কেন। প্রতি পরিক্ষার ফি দিতে হয় আবার খাতা আনার সময় ১০ টাকা দিতে হয়। স্কুলের খেলাধুলার জন্য দিতে হয় ১০০ টাকা। একই গ্রামের আরেক অবিভাবক কনা বেগম জানান ঝাড়–র জন্য সলা কম হওয়ায় আমার ছেলেটাকে তিনবার স্কুল থেকে ফেরত পাঠিয়েছে পরে বেশী করে ঝাড়–রর সলা দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অবিভাবক বলেন আমার ছেলেকে ফুলের টব নিতে বলেছে একটা ফুলের টব ২০০ থেকে ৩০০শ টাকা আমার স্বমী মজুরি খেটে পায় ৪৫০ টাকা তাও প্রতিদিন কাজ নেই আমি এখন কি করি বলতে পাড়ছি না।
এলাকার সচেতনমহল বিষয়টি নিয়ে বিষ¦য় প্রকাশ করে বলেন এ চিত্র এখন প্রায় সব স্কুলেই চলছে তবে কোমলমতি শিশুদের দিয়ে ঝাড়– পাখা ফুলের টব নেয়া অমানবীক এ ব্যপারে কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যপারে উত্তর পালরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইতি রানী দাসের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম্ভারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গতকাল সোমবার গৌরনদী উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফয়সাল জামীল বলেন এটা কোন নিয়ম নেই.চারুকলা পরিক্ষার নিয়ম হলো মিক্ষার্থীরা স্পটে বসে যে যাহা পারে করবে। আর এ ধরনের অভিযোগ প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।