প্রাণী গবেষণার নামে পাচার রোধে লাউয়াছড়া উদ্যানে মানববন্ধন

 

জয়নাল আবেদীন কমলগঞ্জ থেকে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও সিলেটের বিভিন্ন সংরক্ষিত বন থেকে বন্যপ্রাণী গবেষণার নামে পাচার, ধ্বংস রোধে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সংক্ষুব্দ নাগরিক আন্দোলন সিলেট এর আয়োজনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ পথে এ কর্মসূচি পালন করেন।

এক ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, হবিগঞ্জ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্ঝল সোহেল, মৌলভীবাজারের সমন্বয়কারী আ.ছ.ম ছালেহ সোহেল, সিলেটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ কর্মী আব্দুল আহাদ, পরিবেশ সংগঠক নিয়ামুল ইসলাম খান, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোহাইমীন মিল্টন, ব্যারিষ্টার গোলাম সোবহান চৌধুরী, স্থানীয় পরিবেশ কর্মী শামছুল হক, কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমদ আজাদ প্রমুখ।

 

মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা আইন অমান্য করে কোন প্রকার সরকারি অনুমতি না নিয়ে ইতিপূর্বে দেশী বিদেশী কতিপয় গবেষকের সাথে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে বন্যপ্রাণীর নমুনা সংগ্রহ, পাচার ও ধ্বংস করা হচ্ছে। গবেষণার নামে প্রাণী পাচার করা হচ্ছে। এধরণের একাধিক চক্র প্রাণি পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। ফলে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও সিলেটের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে পড়ছে।

বক্তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি তোয়াক্কা না করেই গবেষক পর্যটক হিসেবে লাউয়াছড়া

জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে তথাকথিত দেশী বিদেশী গবেষকরা অবৈধভাবে জাতীয় উদ্যান থেকে প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ ও পাচারের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। অবাদে জাতীয় উদ্যানে ঘুরে এ বনের জীববৈচিত্র্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশী বিদেশী গবেষকদের এ ধরনের কাজ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় ঃ তবে অভিযোগ বিষয়ে বন্যপ্রাণি শাহরিয়ার সিজার বলেন, আমি প্রাণি পাচার করেছি এমন কোন তথ্যপ্রমাণ নেই। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলে কর্তৃপক্ষে আমাকে আপত্তি জানানোর কথা।