0
(0)


মোঃ আহছান উল্লাহ।
বনাঞ্চলের চেয়ে দ্বিগুন কার্বনডাইঅক্সাইড ধরে রাখতে সক্ষম পিট মাটি নির্বিচারে উজার করা হচ্ছে। এর অপব্যবহারে বাতাসে কার্বনের পরিমান বেড়ে ভয়ঙ্কর পরিনতি ডেকে আনছে। অত্যন্ত জনগুরত্বপূর্ন এ বিষয়টি দেখার যেন কেউ নাই। দেশের ক্ষয়ীভ‚ত পিট মাটি কার্বন ধরে রাখতে না পারায় এর নেতিবাচক প্রভাব পরছে মানব স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্রর উপর। পিট মাটির ভ‚মিতে উন্নয়ন পার্শপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে অসেতনতার কারনে একদিকে সরকারি ব্যয় বেশী হচ্ছে, অপরদিকে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অথচ পিট মাটির ভুমিতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ড চালালে এ ক্ষতি এড়ানো যেত। জ¦ালানি হিসেবে এ মাটি পোড়ানোসহ অপরিকল্পিত অবকাঠমো নির্মান, সড়ক উন্নয়ন, মাছ চাষ, পুকুর খনন এবং সংরক্ষনের অভাবে উদ্বেগজনকভাবে সংকুচিত হচ্ছে পিট মাটির ভুমি। পিট মাটির ভ‚মিতে কার্বন ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পানির স্তর দ্রæত কমে যাচ্ছে। এ মাটির গুনাগুন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান না থাকা ও অসচেতনতার কারনে অবশিষ্ট বিশাল পিট ভুমির ভান্ডার রূপান্তর চলমান থাকলে এর পরিনাম ভয়াবহ হবে বলে গবেষকরা মত প্রকাশ করেছেন। চলমান বৈষ্মিক উষ্ণানায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সঙ্কটে পিট মাটি সুরক্ষা আইন ও নীতিমালা প্রনয়ন এবং দ্রæত বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের গেøাবাল পিটল্যান্ডস ইনশিয়েটিভ (জিপিআই)র ডাটাবেজে বাংলাদেশের পিট মাটি অন্তর্ভ‚ক্ত না হওয়া দুঃখজনক।

২০১৬ সালের ২১ মে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এক লাখ পাঁচ হাজার পাঁচশ ছিচল্লিশ হেক্টর পিট মাটির ভ‚মি আছে। পিট হিসটোসল গ্রæপের এক ধরনের মাটি। এতে জৈব পদার্থের পরিমান উচ্চহার (২০%-৮০%) । এর গভীরতা এলাকাভেদে ৫০ সেমি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ খুলনা ও বরিশালের একাংশের পিট বেসিন ফিজিওগ্রাফি অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমান পিট মাটি পাওয়া যায়। তবে সরকারি হিসেব এবং পিট ভুমির অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখা যায় পরিমানগত দিক দিয়ে এ হিসেব সাংঘর্ষিক অভিজ্ঞদের মতে এর পরিমান আরো অনেক বেশী। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পিট মাটির সুফল পেতে এবং সংরক্ষনের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল পেতে জরুরি উদ্যোগ চালু করলেও আমাদের দেশে সংরক্ষনের উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান হয়নি। একটি সুত্র জানিয়েছে, মিশরের শারম- আল- শেখ শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন (কপ২৭) এ বাংলাদেশের পিট মাটি নিয়ে গুরত্বপূর্ন আলোচনা হবে।

সরেজমিনে বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর উপজেলা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, সদর উপজেলা, কোটালিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩০/৩৫ বছরে এ সম্পদের বিশাল একটি অংশ উজার হয়ে গেছে। অপরিকল্পিত অবকাঠমো উন্নয়ন, বসতি নির্মান, সড়ক উন্নয়ন এবং অনিয়ন্ত্রিত মাছ চাষে পিট মাটির ভুমি বেশী ক্ষতিগ্রস্থ বেশী হয়েছে। এর মুল কারন পিট মাটির গুনাগুন সম্পর্কে ধারনা না থাকা এবং সরকারি বা বেসরকারিভাবে সচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারনা না থাকায় এমনটি হয়েছে। তবে এখনও এ সম্পদের অবশিষ্ঠ বৃহত্তম অংশ খুলনা, গোপালগঞ্জ এবং বরিশালের গৌরনদীর বার্থী, ধুরিয়াল,চাদশির কিছু এলাকা ও বাকাইর কিছু অংশে পিট মাটির অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। উজিরপুরের, জল্লা, মুন্সির তালুক, কাজিশাহ, কুড়লিয়া,কারফা, মশাং, হারতা, আগৈলঝাড়ার সাতলা, বাগধা, আমবৌলা, বারোপাইকা, সাহেবের হাট, দুসুমি, আস্কর, পয়সারহাট, মাগরা, কোঁদালধোয়া, রাজিহার, বাসাইল, চৌদ্দমেধা, চেঙ্গুটিয়া এলাকায় অক্ষত পিট মাটির অস্তিত্ব দেখা যায়।

 

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধুরিয়াল গ্রামের শান্তি রঞ্জন (৭৮) বলেন, আমাদের এলাকায় এক সময় এ মাটির অনেক জমি ছিল এখন নাই, বসতি বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন অবকাঠামো ও সড়ক নির্মান, মাছ চাষ এর কারনে ভুমিগুলো কমে গেছে তবে এখনও ৮-১০ ফুট মাটি খুরলে বা পুকুর কাটলে এ মাটি দেখা যায় যা প্রমান করে এ অঞ্চলে এক সময় এর বিশাল ভ‚মি ছিল। এ উপজেলার ধুরিয়াল গ্রামের ব্যবসায়ি বাদল বেপারি (৬৫) বলেন, এ মাটি এত উপকারি আমরা জানতাম না আমাদের কেউ কখনও বলেননি। একই উপজেলার ভালুকশি গ্রামের লিয়াকত কাজি (৫৫) তিনি পুকুর কাটছেন বড়ি বানানোর জন্য ১০-১২ ফুট গভীর থেকে পিট মাটি বের হচ্ছে তিনি পিট মাটির উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। আগৈলঝাড়া উপজেলার বারোপাইকা গ্রামের ঘের ব্যবসায়ি পলাশ পান্ডে (৪০) দক্ষিন বারোপাইকা গ্রামের বিশাল এলাকাজুরে (প্রায় একশ একর) পিট ভুমির উপরে মাছের ঘের তৈরি করছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার বারোপাইকা গ্রামের ব্যাবসায়ি মোঃ হান্নান শাহ বলেন, যোগ মাটিতে বাড়ি বানাইয়া অনেক সমস্যা হচ্ছে প্রতিবছর বাড়ি ডেবে যায়, প্রতি বছর মাটি ফেলতে হয়, পিট মাটির উপকারিতা সম্পর্কে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন না আমার ধারনা নেই কেউ কোন সময় বলেও নাই। একই উপজেলার আষ্কর গ্রামের এনজিও কর্মী কল্লোল বিশ^াস (৫০) বলেন, দীর্ঘ্যদিন আমাদের গ্রামসহ পাশর্^বর্তী এলাকার কিছু পরিবার খরা মৌসুমে এই মাটি গোলা পাকিয়ে সুখিয়ে চুলার জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহার করে। এমনটি কোটালিপাড়া ও উজিরপুরের কিছু কিছু অংশে আমি দেখেছি। এই উপজেলার বারোপাইকা গ্রামের কৃষিবীদ কিশোর কুমার মন্ডল বলেন, সরকারি বে-সরকারিভাবে পিট মাটি সংরক্ষনে কোন সচেতনতামূলক কার্যক্রম না থাকায় দ্রæত ফুরিয়ে যাচ্ছে আমাদের এ সম্পদ।

গোপালগজ্ঞ সদর উপজেলার বলাকৈর গ্রামের ছিদ্দিক মোল্লা (৬৫) ও রাসেল মোল্লা (৫০) বলেন, আগে এ্যাত্তা গড়ম লাগতনা এ্যাহন এ্যাতো গরম অস্থির হয়ে যাই। কাঠি বাজার এলাকার কৃষক মোমরেজ মিয়া (৭০) বলেন, পিট মাটি না কি মাটি জানিনা। আমাগো এখানে কালামাটি বলে। এ মাটিতে অনেক সার আছে আবার লাকরির কাজও হয়। আগে এ মাটির যে জমি ছিল এখন তা অনেক কমে গেছে।
কোটালিপাড়া উপজেলার খাগর এলাকার নুর ইসলাম ও কুশলা গ্রামের মাছ চাষি জগদিশ কির্ত্তনিয়া বলেন, পিট মাটির সব গুনাগুন আমরা জানিনা তবে পিট মটির জলাশয়গুলিতে আমরা নেটিং পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার চেস্টা চালাচ্ছি। অল্প কিছু জায়গায় আমরা নেটিং পদ্ধতিতে কিছু মাছ চাষ করে ভালো ফল পেয়েছি এতে খরচও অনেক কম পিট মাটিরও ক্ষতি হবে না। তবে নেটিং পদ্ধতিতে সাদা মাছ যেমন রুই, কাতলা, সিলভার কার্প জাতীয় ভাসমান মাছ চাষ করা যাবে। দেশী প্রজাতির সিং, কই, শোল মাছ চাষ করা যায় না।

গোপালগজ্ঞ সদর উপজেলার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন পিট মাটির বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন তিনি বলেন, পিট মাটির বিভিন্ন উপকারিতার বিষয়ে স্থানীয়রা জানেন না। তাছাড়া সচেতনতা সৃষ্টিতে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম না থাকায় পরিবেশগত দিক বিবেচনা না করে ইচ্ছেমত পিট মাটির ভ‚মি ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩০-৩৫ বছরে এ পিট মাটির জমি সুখিয়ে পানির সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। জলি (জলি ধান গভীর পানিতে চাষ করা হয়) ধানের চাষ কমে গেছে। এটা আরো বিপদজনক।

 

২০১৯ সালের ০১ ফেব্রæয়ারী ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রাম (ইউএনইপি) এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক পিট মাটি বিশেষজ্ঞ ডায়ানা কোপানস্কি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলা করার কৌশলগুলিতে অবশ্যই পিট ল্যান্ডের (পিট মাটির ভুমি) সঠিক ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ পিট মাটি হারিয়েছি। তিনি ব্যক্তি সম্প্রদায় এবং সরকারকে আশ্চর্যজনক ইকোসিস্টেমগুলিকে রক্ষা করার জন্য একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

দ্যা ইকোনোমিকস ওফ ইকোসিস্টেমস এ্যান্ড ফাউন্ডেসন (টিইইবি) ২০১০ সালের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কার্বন ধরে রাখার ক্ষেত্রে পিট মাটি অন্য সব ধরনের ইকোসিস্টেম এর তুলনায় অধিক দক্ষ।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, ভয়েজ অফ আমেরিকার একটি প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে, এস্তোনিয়ার তারতু বিশ্ববিদ্যালযের রসায়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান, অধ্যাপক এন লস্ট ও তার গবেষক দল সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে পিট মাটি ব্যবহার করার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন। তারা পিট মাটির ক্ষতি না করে পরিবেশগতভাবে কার্বন-ভিত্তিক ব্যাটারি উদ্ভাবনের উপর গবেষনা করছেন। প্রযুক্তি পরীক্ষার অর্থায়নের জন্য এস্তোনিয়ার সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকরা ।

পরিবেশ অধিদপ্তর গোপালগজ্ঞ এর সহকারি পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে (পিট মাটি) আমার জানা নেই। শাপলা এবং পদ্ম বিলের পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে। এ বিষয়ে যদি দাপ্তরিক কোন নির্দ্দেশনা আসে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর গোপালগজ্ঞ এর উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, এ মাটি সংরক্ষনের কোন বিষয় নেই কেননা গোপালগজ্ঞ এবং এর আসপাশ এলাকার নিচু জায়গায় সর্বত্রই পিট মাটি আছে। আপনি লক্ষ করলে দেখবেন এ এলাকার অনেক জায়গায় পুকুর কাটলে এ মাটি বের হয়। অনেকে জালানি হিসেবে ব্যবহার করছেন। এটি একটি মার্চি ল্যান্ড এর অনেক বিষয় আছে যা এক্সপার্টরা ভালো বলতে পারবেন । তবে এ মাটিতে প্রচুর কার্বন এবং জৈব ম্যাটার রয়েছে। অনেক জায়গায় এ মাটির উপর যেখানে পলি পরেছে সেখানে ফলন ভালো হয়। সমগ্র বাংলাদেশে যেখানে বোরো ধান আবাদ ২৫% হয়, সেখানে আমাদের গোপালগজ্ঞে ৭২% থেকে ৮২% হাইব্রিড বোরো আবাদ হয়। ফলনও বেশী শতাংশে একমন ধান হয় যা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। খালি পিট মাটিতে ধানের আবাদ করা যায় না।

কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী ও জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক ফ্রেম ওয়ার্ক (ইউএনএফসিসিসি) এ কৃষক প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন (শাহীন) বলেন, পিট মাটি আমাদের জন্য প্রকৃতির দেয়া মূল্যবান সম্পদ। এর যথাযথ সংরক্ষন ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরী। দেশ বা অঞ্চল ভেদে পিট মাটি, যোক মাটি, পিটল্যান্ডস, মুর, ফেন বগমাটি বা কালা মাটি নামে পরিচিত। এ পর্যন্ত বৈশি^ক পিট মাটি ডাটাবেজে বাংলাদেশের পিট মাটি অন্তর্ভ‚ক্ত করা হয় নাই, যা দুঃখজনক। এতে করে পিট মাটি সংরক্ষনের আন্তর্জাতিক তহবিল পাওয়ার কোন চেস্টা করা যাচ্ছে না। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মিশরের শারম- আল- শেখ শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন (কপ ২৭) এ বাংলাদেশের পিট মাটি নিয়ে গুরত্বপূর্ন আলোচনা হবে।

গোপালগজ্ঞ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, খুলনা সাময়িকভাবে বিভাগীয় কার্যালয়, বরিশাল।
ট্রেনিং এন্ড কমুনিকেশন ডিভিশন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, প্রধান কার্যালয় এবং বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ সাব্বির হোসেন বলেন, পিটল্যান্ডস (পিট মাটি) হল এক ধরনের জলাভূমি তারা প্রচুর পরিমাণে কার্বন সঞ্চয় করে – যা বনভ‚মির তুলনায় দ্বিগুণ। পৃথিবীর উজাড় হয়ে যাওয়া পিট মাটি প্রতি বছর ১.৯ গিগাটন কার্বনডাইঅক্সাইড উদ্গ¦ীরন করছে। পৃথিবীতে অবশিষ্ট প্রায় প্রাকৃতিক পিট মাটি (তিন মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার) প্রতিবছর ০.৩৭ গিগাটন কার্বনডাইঅক্সাইড শোষন করছে। পিট মাটি শুকিয়ে ফেললে এতে আটকে থাকা কার্বন বাতাসে চলে আসে এবং কালক্রমে ভ‚মি দেবে যায়। ঠিক এ কারনেই পিট মাটির এলাকার সড়ক ব্যাপকভাবে দেবে যায়। আমাদের পিট মাটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং পৃথিবীর সম্পদ। এটাকে কোন ভাবেই নস্ট হতে দেয়া যাবে না। এ জন্য মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের মতামত নিয়ে পিট মাটি অঞ্চল সংরক্ষন নীতিমালা ও প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ন করা অতীব জরুরী।

পিট মাটি সংরক্ষনের জন্য সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে কিনা, উদ্যোগ নিয়ে থাকলে কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর মহা পরিচালক মোঃ কামারুজ্জামান এর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, পিট মাটি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.