গৌরনদীর আলমগীর পাইকের পাশে ওসি মো. আফজাল হোসেন

বিডি কামাল,গৌরনদী।
৫০ বছর শিকলবন্ধী গৌরনদীর আলমগীর পাইক, শিরোনামে গত শুক্রবার কালের কন্ঠে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওইদিন বিকেলে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন শরীফাবাদ গ্রামের আলমগীর পাইককে শিকল মুক্ত করেন। এরপর গোসল,বিছানা,পোষাক ও উন্নতমানের খাবার খাওয়ান। তার বড় ভাইর স্ত্রী মুকুল বেগমের ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেন এবং মানষিক ভারসাম্যহীন আলমগীর পাইকের চিগিতসারও দায়িত্ব নেন। কাজটি নিজ উদ্যোগেই করেছেন মানবিক পুলিশ খ্যাত ওসি মো.আফজাল হোসেন।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.আফজাল হোসেন বলেন, শুক্রবার জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠে সংবাদটি দেখে আমি শরীফাবাদ গ্রামে যাই এবং আলমগীর পাইককে শিকল মুক্ত করে গোসল,বিছানা,পোষাক ও খাবার খাওয়াই। আপাতত তার ভাইর বিধবা স্ত্রী মুকুল বেগমের জিম্মায় তার ঘরে রাখা হয়েছে। আমি পাবনার হেমায়েতপুর মানষিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় খোজখবর নিচ্ছি, কি ভাবে তাকে দ্রæত চিগিতসার জন্য পাঠানো যায়। একান্ত মানবিক কারনেই তিনি উদ্যোগটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসি গৌরনদী মডেল থানার ওসিসহ সকল পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন,আসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন আলমগীর পাইকের পাশে দাড়ারোনর জন্য।
উল্লেখ্য গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত শরীফাবাদ গ্রামে শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত জঙ্গলে বন্ধী ছিল গৌরনদীর মানষীক ভারসাম্যহীন আলমগীর পাইক। অর্ধাহারে অনাহারে ঝড়,বৃষ্টি এমনকি প্রচন্ড শীতেও তাকে জঙ্গলের একটি গাব গাছের সাথে কয়েক টুকরা পলিথিনের মধ্যে কাটাতে হয়েছে। এক দুই দিন নয় দীর্ঘ্য ৫০ বছর লোহার শিকলে বন্ধী ছিলেন আলমগীর পাইক। গত শুক্রবার একমাত্র কালের কন্ঠে, ৫০ বছর শিকল বন্ধী আলমগীর পাইক শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।