বগুরা থেকে গৌরনদী এনে স্ত্রীকে হত্যা করল পাষন্ড স্বামী
এস এম ছালেক,গৌরনদী।
বগুরা থেকে বরিশালের গৌরনদী এনে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছে এক পাষন্ড স্বামী। পুলিশ ঘাতক স্বামী সাকিব হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। নিহত গৃহবধু নাজমিন আক্তার বগুরা সদর থানার সার্বজনিন গ্রামের লতিফ প্রমানিকের মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধুর শরীরের চামরা, পায়ে আঙ্গুলের নক এবং ওরনা উদ্ধার করলেও মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। ঘাতক সাকিবকে নিয়ে লাশ উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুনচর জাহাপুর গ্রামের আবদুল করিম হাওলাদারের পুত্র সাকিব হাওলাদার (২১) বগুরা সেনানিবাসে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে চাকুরি করে। চাকুরির সুবাদে বগুরা সদর থানার আবদুল লতিফ প্রমানিকের মেয়ে নাজমিন আক্তারের সাথে এক বছর আগের প্রেম করে বিয়ে হয়। গত ২৪ মে ঘাতক স্বামী বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে গৌরনদী উপজেলা বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামে এসে জৈনক ছালাউদ্দিন বেপারির ভাড়াটিয়া বাড়িতে আসে এবং এখানে হত্যাকান্ড ঘটায়। ঘাতকের বাবা মাসহ পরিবারের সদস্যরা ওই ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করত। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। ২৫ মে আবার সাকিব কর্মস্থলে যোগ দেয়। এদিকে নিহত গৃহবঁধুর পরিবার তাদের মেয়ের সন্ধান না পেয়ে বগুরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
ডায়েরির সুত্র ধরে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ সাকিবকে গ্রেফতার করেন। এরপর নিহত গৃহ বধুর লাশ উদ্ধারের জন্য গৌরনদী আসেন। গৌরনদী মডেল থানার সহযোগীতায় লাশ উদ্ধারে নামে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঘাতক সাকিব হত্যার কথা সিকার করে বলেছে তাকে দরি ও ওরনা দিয়ে গলায় ফাস দিয়ে হত্যা করে ভাড়াটিয়া বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে নাজমিনের লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে নাজমিনের ব্যাবহৃত ওরনা ,শরীরের কাটা চামরা ও নক উদ্ধার করলেও পুরো মৃতদেহর সন্ধান করতে পারেননি।
গতকাল বিকাল সারে তিনটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক মো.আফজাল হোসেন জানান,নিহত গৃবধুর কাটা চামরা,্ওরনা নকসহ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান চলমান আছে।