মেয়েকে স্কুলে দেয়া হল না দেলোয়ার ঘড়ামীর
বিডি কামাল।
মেয়েকে স্কুলে দেয়া হল না সড়ক দূর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া এক দুখি বাবার। দুঃখ দারিদ্যের কষাঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে,মানবেতর জীবনযাপন করছেন উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের মোঃ দেলোয়ার ঘড়ামী।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যেতে ঢাকা-বরিশাল মহা-সড়ক পার হওয়ার সময় বাবা মেয়ে দুইজনই দুর্ঘটনার কবলে পরেন। মেয়ে সামান্য আহত হলেও বাবা দেলোয়ার ঘড়ামীর দুটি পা ভেংগে কয়েক টুকরা হয়ে যায়। আর এই সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে তার জীবনের সকল প্রকার সুখ শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে।
দুর্ঘটনার আগে একটি ছোট মুদিখানার দোকান চালিয়ে জীবন যাপন করতেন। চোখে সপ্ন ছিলো ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষ করবেন। কিন্তু তার সে আশা ¤øান হয়ে গেল এক দুর্ঘটনায়। চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বশান্ত দেলোয়ার। সর্বশেষ নিজের বসতভিটা বিক্রি করেও চিগিৎসা করতে হয়েছে তার। বর্তমানে পঙ্গুত্ব বরণ করে বহু কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে।
বর্তমানে টিকাসার গ্রামে ছোট একটি ছাপরা ভাড়া ঘরে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে দুঃখ কষ্ট করে এখানেই বসবাস করতে হচ্ছে তাকে। কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে তার প্রতিটি দিন কাটে। আগের মতো শরীরে শক্তি নেই। তার পরেও জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে তাকে কাজ করতে হচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্য্য বিষয়, ইট ভেঙ্গে তার দৈনন্দিন খরচ জোগাতে হয়। তবে বৃষ্টির সময় ছাপড়া ঘড়টি দিয়ে পানি পরে।
স্ত্রী শাহনাজ বেগম তার সকল প্রকার কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে। তবে দুঃখ যেন দেলোয়ারের পিছু ছাড়ছে না । গেল বছর মেঝো মেয়ে নুপুর (১৩) বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুটি পা পুরে গেছে চিকিৎসার অভাবে সে মেয়েটিও পঙ্গু হয়ে যেতে বসেছে।
দেলোয়ার জানান পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ রহমান তার দুর্গতি দেখে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছেন। তাও আবার করোনা শুরু হওয়ার পর এই এক বছর ভাতা পাননি। নিস্বাস ছেড়ে মালিকের উপর সব সুপে দিয়ে,জীবনের করুন কাহিনী বলতে গিয়ে কানানায় ভেঙ্গে পরেন দেলোয়ার ঘরামী ।