সামাজিক অবক্ষয় আমাদের এই সমতটে (এক)……….

0
(0)

 

মোঃ আহছান উল্লাহ ঃ প্রিয় পাঠক, আমি নাম করা কোন লেখক নই,পাঠলব্ধ জ্ঞান থেকেই এ প্রেরনা, আর্থ সামাজিক অবক্ষয় সম্পর্কে লেখার প্রবল বাসনা পোষন করে এসেছি অনেক আগে থেকেই । কেননা আর্থ সামাজিক অবক্ষয়ের কথা চিৎকার করে বললেই তার সমাধান হবে না চিহ্নিত করতে হবে এর সঠিক সূত্র সমূহ তারপর সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালাতে হবে প্রতিরোধের , বিরাজমান অবক্ষয় থেকে এই সোনার ছোট্র দেশঠিকে মুক্ত করার জন্য। কথাটা যত সহজে বলা গেল , অবক্ষয়ের বিস্তৃতি রোধ করতে আমরা কতটুকু সক্ষম? এত বড় সামাজিক অবক্ষয় রোধে প্রধান ভূমিকায় থাকবেন কারা ? চিন্তা করলে ব্যাপার গুলো কিন্তু অত সহজ নয়। একজন কলম সৈনিক হিসেবে কথাগুলো সাজিয়ে লিখতে বসলে দেখা যায় দেশটি ক্ষুদ্র হলেও অবক্ষয়ের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে এর সর্বাঙ্গে সে বিষক্রিয়া সংক্রমিত হচ্ছে দ্রুতার সাথে মনে হচ্ছে এ বিষক্রিয়া অপ্রতিরোধ্য। প্রতিষেধক ব্যবস্থার উর্দ্ধে এর অবস্থান। আমাদের দেশে বড় সমস্যা হলো অঘটন যখন ঘটে তখন সবাই আসে প্রতিকারের জন্য। কিন্তু প্রতিরোধ ব্যবস্থা অপ্রতুল। তাই আমাদের বর্তমান সমাজে যে অবক্ষয়ের ক্ষতচিহ্ন দেখি তা একদিনের নয় অনেক ক্ষত যুগ য়ুগ ধরে চলে আসছে। তবে হতাশ হলে চলবে না। এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবার পথ রোধ করতে হবে উপযুক্ত কর্মপন্থা নিয়ে। হতাশা গ্রস্থদের পরিচয় করে দিতে হবে বাস্তবতার সাথে দীর্ঘদিনের এ ব্যাধী এক দিনেই হুট হাট করে সারানো যাবে না। তারা হুরো করে রাতারাতি অবক্ষয়ের অসংখ্য পথ রোধ করার চিন্তা ভাবনা না করে পরিকল্পিত ভাবে একের পর আরেক টি। সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে সমাজ বন্ধ ভাবে , ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কৃতকার্য না হলেও ভবিষ্যৎ প্রজম্মকে জাগ্রত হবার সুযোগ দিতে পারা একেবারে তুচ্ছ ব্যাপার নয়। তারা অন্তত: সঠিক পথের সন্ধান পাবে। তাদের প্রচেষ্টার ফিরে আসবে এ দেশে সত্যিকারে জীবনী শক্তি । প্রত্যেকেই গৌরব বোধ করতে পারবে সু নাগরিক হদয়ে এমন প্রত্যাশা করা মোটেই অন্যায় বা অসাধ্য কিছু নয়। বিভিন্ন শাখায় অবক্ষয়ের মত একটা অপ শক্তি একদিনে এদেশে আসনি। আমদানী হয়েছে হয়তো তুচ্ছ হিসেবে আমার অনেকের বিশ্বাস। দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য যুব শ্রেনীকে বিভিন্ন ভাবে অবক্ষয়ের পথে প্রলুদ্ধ করতে পারলে কুচক্রিদের উদ্দেশ্য সফল হবে। অস্বিকার করি না এ রকম কারন সমূহ প্রথমে আমরা সামাজিক অবক্ষয় গুলির প্রাথমিক কারনগুলো যদি চিহ্নিত করি তাহলে যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোকপাত করা দরকার দরকার সেগুলো হলো ১। মাধকা শক্তি ২। মাধক ব্যবসা ৩। সন্ত্রাস ৮। রাজনীতিতে সন্ত্রাস ৫। দুর্নীতি ৬। চাঁদাবাজ ৭। ছিনতাই ৮। নারী নির্যাতন ৯ । অবমূল্যায়ন ১০। শিক্ষা সংকট ১১। জঙ্গীবাদ ১২। সাহিত্যে বিকৃতি ১৩। অপসংস্কৃতি ১৪ । শ্রদ্ধাবোধ ১৫।পরিবেশগত বিপর্যয় ১৬। ভিক্ষা বৃত্তি ১৭। বিভিন্ন নামে বাজারে অহরহ সস্থায় যৌন উত্তেজক ঔষধের সমারোহ ১৮। বিদেশী সাস্কৃতি ১৯। পরিবারে অবিভাবকদের সন্তান লালন পালনে এবং তার সন্তানের গতিবিধির উপর নজরদারি বা তার সন্তান কোথায় যায় কি করে বেশী রাতে বাড়ি ফেরার কোন জবাদিহিতা না থাকা ২০। বিকৃত মানষিকতা ? ২১। সস্তায় মোবাইল বনাম অনিয়ন্ত্রিত সোসাল মিডিয়া ২২। উপদেশ দেয়া কিন্তু নিজে অথবা উপদেশকারির পরিবারে তা প্রচলন না করা ২৩। বিনা পয়সার চাকুরি দূর্নীতির মাষ্টার মাইন্ড অপ সাংবাদিকতা ২৪। রাতারতি অর্থবিত্তের মালিকানার চিন্তা ২৫। সরকারি সুযোগ সুবিধা যথাস্থানে না পৌছানো ২৬। পেশী শক্তির পৃষ্টপোষকতা ২৭। বিলাসিতা ২৮। অপচয় অপব্যবহার ২৯। তোষামোদি যাকে গ্রাম্য ভাষায় তেল মারা বলে ৩০। ধর্মীয় রেওয়াজের বিকৃত প্রচারনা ইত্যাদি। ( মোট ৩০ পর্বের লেখাটির প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল) চলবে—

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.