মোঃ মেহেদী হাসান,স্টাফ রিপোর্টার//একাদশ সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মতো একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে নতুন সরকারের যাত্রা শুরু করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হচ্ছেন ৪৭ জন।এবারের মন্ত্রিসভায় আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও মতিয়া চৌধুরীর মতো আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতারা জায়গা পাননি। সেই সঙ্গে ঠাঁই হয়নি রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মতো শরীক দলের সিনিয়র রাজনীতিকদেরও।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তাতে বিদায়ী মন্ত্রিসভার ৩৬ জনই বাদ পড়েছেন। অপরদিকে এবারই প্রথম মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন ২৭ জন। তারা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে রোববার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তোফায়েল আহমেদ বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী উনার পছন্দমত যোগ্য, সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিদের নিয়েই কেবিনেট করেন। আমার মনে হয় তিনি সেজন্যই করেছেন ও ভালোই করেছেন।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমি ৭২ সাল থেকে প্রতিমন্ত্রী, ৯৬ সালে মন্ত্রী ছিলাম। নির্বাচনকালীন সরকারে শিল্প ও গৃহায়ন এবং পরে আবার বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। সুতরাং আমরা যারা পুরনো নতুনদের তো জায়গা দিতে হবে। একসময় তো যেতে হবে’।
বিদায়ী মন্ত্রিসভার এই সিনিয়র সদস্য বলেন, আমার মনে হয় উনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নতুন যারা কেবিনেটে জায়গা পেয়েছেন তারা সবাই যোগ্য, আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তারা ভালোভাবেই সরকার পরিচালনা করে দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। এতে মহাজোটের শরিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৬টি এবং জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাসদ দুটি, বিকল্পধারা দুটি এবং বাংলাদেশ জাসদ, তরীকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি) একটি করে আসন পায় নির্বাচনে। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি পাঁচটি, গণফোরাম দুটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পায় তিনটি আসন।