মরন ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত লিটন শরীফকে বাঁচাতে চিকিৎসা সাহায্যের আবেদন

গৌরনদী প্রতিনিধি//মরন ব্যাধি পাকস্থলির ক্যান্সারে আক্রান্ত বরিশালের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের চায়ের দোকানদার মোঃ লিটন শরীফ (৩৯)কে বাঁচাতে সরকার ও দেশবাসীর কাছে চিকিৎসা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার দরিদ্র অসহায় স্বজনরা। এ জন্য তারা স্থানীয় সাংবাদ কর্মীদের দ্বারস্ত হয়েছেন।
অসহায় স্বজনদের সুত্রে জানাগেছে, গৌরনদী উপজেলা সদরের দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামের মৃত আহাম্মদ শরীফ ও আম্বিয়া বেগমের ৩ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে চায়ের দোকানদার লিটন শরীফ সবার ছোট। জন্মের পর থেকে চরম দারিদ্রতার সাথে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। এ কারনে লেখাপড়া তেমন করতে পারেনি সে। যৌবনে পা দেয়ার মুহুর্তেই লিটন নেমে পড়ে পিতা-মাতার দরিদ্র সংসারের হাল ধরতে। এক পর্যায়ে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে সে। ওই ব্যবসার আয়ে বেশ সুখেই কাটছিল পিতা-মাতা ভাইবোনসহ তার পারিবারিক জীবন। ইতোমধ্যে বিয়ে করে নিজের জন্য আলাদা সংসার পাতে সে। এ জীবনে দারিদ্রতা ছিল, কিন্তু তার মধ্যেও বেশ সুখ ছিল তার সংসারে। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের সংসারে আসে নতুন অতিথি। ২টি কন্যা সন্তানসহ বেশ ভালভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাদের সুখের দিনগুলো।
হটাৎ করে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত বিগত ২০১৪ সালের প্রথম দিকে তার জীবনে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। ওই সময় হটাৎ করে তার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে যখন কোন কিছুই হচ্ছিল না, তখন বিগত ৩/৫/২০১৪ ইং রাজধানী ঢাকায় গিয়ে একটি প্রাইভেট চেম্বারে একজন ডাক্তারকে দেখান। তিনি নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে জানান লিটনের পাকস্থলিতে টিউমার হয়েছে সেটি অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করলেই সে ভাল হয়ে যাবে। ডাক্তারের কথায় ১২/৫/২০১৪ ইং সে রাজধানী ঢাকার সমরীতা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অপারেশন করায়। ওই অপারেশনে তার খরচ হয় ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এরপর ওই হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষনে থেকে আরও বেশ কিছু টাকা ব্যায় হয় তার। এরপর সুস্থ্য হয় সে। এভাবে ৪ বছর কেটে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে পূনঃরায় আবার তার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। ফলে গত ৯/১০/২০১৮ইং আবার সে সমরীতা হাসপাতালে যায়। সেখানকার ডাক্তারগন ২য় দফা তার পাকস্থলিতে অপারেশন করে অপর একটি টিউমার অপসারন করেন। এবারে তার ব্যয় হয় তিন লক্ষ টাকা। অপারেশন শেষে ডাক্তারগন জানান যে, লিটনের পাকস্থলি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ওই ডাক্তারদের পরামর্শে প্রতিদিন তাকে দুই হাজার টাকার ঔষধ সেবন করতে হচ্ছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতোমধ্যে লিটন তার সহায় সম্বল যা ছিল সব বিক্রি করে ফেলেছে। এখন নিজের বসত ঘরটি ছাড়া তার অবশিস্ট কিছু নেই। ফলে সে এখন তার ঔষধ কিনতে পারছেন। অপর দিকে তার ২টি কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ৫ম শ্রেনীতে ও ছোট মেয়ে ২য় শ্রেনীতে পড়ে। দুটি সন্তানসহ তাদের ৪ সদস্যের সংসারের সবার মুখে এখন আহার দিতে পারছেনা সে। ঔষধ কিনবে কি করে ?? তাইতো লিটন শরীফকে বাঁচাতে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে সরকার ও দেশবাসীর কাছে চিকিৎসা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার অসহায় স্বজনরা। লিটন শরীফকে চিকিৎসা সাহায্য দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন-০১৯৬৬৪২৯৮৬০ মোবাইল নম্বরে। অথবা সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-০৩১২১০০০১৬৭৬৪ সোনালী ব্যাংক গৌরনদী শাখা, বরিশাল। এ ছাড়া বিকাশ করুন-০১৯৬৬৪২৯৮৬০ নম্বরে।