রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে নেছারাবাদী হুজুর

মুহম্মদ আহছান উল্লাহ/ফেরদাউস হোসেন নেছারাবাদ ঝালকাঠি থেকে
মিয়ানমারের সাথে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সর্বাত্মক অবরোধ প্রচেষ্টা গ্রহণ করুন ‘মিয়ানমার সরকার এবং বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের দ্বারা একের পর এক সংঘটিত রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞে বিশ্বসম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তায় আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। ওআইসি, আরবলীগ ও জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলো ধারাবাহিক এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় বর্মী সরকার পুনরায় মুসলমানদের উপর নতুন উদ্যমে যে নৃশংস বর্বোরচিত নির্যাতন-নিগ্রহ শুরু করেছে তা বসনিয়ায় সংঘটিত শতাব্দীর ঘৃণ্য নৃশংসতাকেও হার মানাচ্ছে! মুসলমান হিসেবে, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের নাগারিক হিসেবে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ গত ০১, সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার বাদ-জুমা ঝালকাঠী নেছারাবাদ দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর একমাত্র ছাহেবজাদা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাও. মুহাম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর একথা বলেন। নেছারাবাদী হুজুর বলেনÑ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার সরকার সেদেশের হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যে ভরপুর আরাকান রাজ্যের নাম রাখাইনে পরিবর্তন পূর্বক মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করার যে ভয়ঙ্কর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা কোনো অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না। এ অবস্থায় হাজার- হাজার সহায়সম্বলহারা আশ্রয়হীন নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ শুধুমাত্র জীবন নিয়ে বিপৎসঙ্কুল পাহাড়ি জঙ্গল এবং উত্তাল সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় এসে হাজির হয়েছে। সীমান্তে এখন কেবলই তাদের আর্তনাদ! বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এবং রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যায় পূর্বে থেকেই নাজেহাল। তদুপরি নতুন করে আসা এই বিপুল জনগোষ্ঠী আমাদের উদ্বেগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আশ্রিত মানুষদের পুনরায় সাগর কিংবা হিং¯্র প্রাণীতে ভরপুর জঙ্গলে ঠেলে দেয়া হবে আরো অমানবিক, আরো নিষ্ঠুরতার প্রকাশ। আমরা এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানাবোÑ কেবলমাত্র মানবতার খাতিরে সীমান্ত উন্মুক্ত করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিন এবং মিয়ানমারের সাথে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে কূটনৈতিকভাবে সর্বাত্মক অবরোধ প্রচেষ্টা গ্রহণ করুন। আমরা রোহিঙ্গাদের পরিবারভুক্ত করে নিতে প্রস্তুত আছি।’ নেছারাবাদী হুজুর বলেনÑ ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যেগে বর্বর অসভ্য মগ-দুর্বৃত্তদের মূলোৎপাটন হবে এবং অসহায় রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আরাকানে তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাবে।’ তথ্য সূত্র:মুস্তাফীজ শিহাব তথ্য ও গবেষণা সেল মুছলিহীন ওয়ার্ল্ড।