স্বরূপকাঠি লঞ্চঘাটের বেহাল দশা যাত্রী দূর্ভোগ

হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি থেকে ফিরে ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির প্রধান লঞ্চঘাটের বেহাল দশায় যাত্রী দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। সন্ধ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে উপজেলা সদরে অবস্থিত ওই লঞ্চঘাটটি ২০১৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। উদ্ভোধন কালে নতুন কোন পল্টুন (লঞ্চঘাট) না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছারছীনা ঘাটে ব্যবহৃত পুরোনো পল্টুনটি দিয়ে
ঘাট উদ্বোধন করা হয় সেই থেকে ওই পুরোনো ভাংগাচোড়া ঘাটটিকে জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করে আসছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জনগুরুত্বপূর্ন ওই ঘাট দিয়ে ঢাকা, হুলারহাট, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, বানারীপাড়া, বিশারকান্দি, বৈঠাকাটা, হারতা সহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ১৫ টি লঞ্চে করে প্রায় তিন সহস্রাধীক যাত্রী চলাচল করে। ঘাটে উঠতেই ঘাটের জেডি ও সিড়ির কাঠ নষ্ট হয়ে ভাঙ্গা দেখা যায়। ঘাটের একটি ষ্টাম্প (লোহার খুটি) না থাকা এবং অন্যটিও হেলে পড়ায় জোয়ার ভাটায় পল্টুনটি বেকে গিয়ে কাত হয়ে থাকে। এতে করে যাত্রীদের ঘাটে উঠতেই বেগ পোহাতে হচ্ছে। পল্টুনের প্ল¬¬াটফ্রমটির বিভিন্ন স্থানে মরিচা ধরে ছোটবড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী ছাউনির বেঞ্চগুলো ভাঙ্গা থাকায় বসার অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে চালার টিন ফুটো হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টিতে যাত্রীদের ব্যাগ,মালামালসহ ভিজতে হচ্ছে। টয়লেটের দরজা না থাকা ও নোংরা হওয়ায় ব্যবহারের সম্পুর্ন অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে মহিলা যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। এ ব্যাপারে অগ্রদূত প্ল¬াস লঞ্চের ঘাট সুপার ভাইজার মো. আলী আজিম বাচ্চু ও টিপু লঞ্চের ঘাট সুপার ভাইজার মো. নুরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই ঘাটে দু চারজন যাত্রী দূর্ঘটনার সম্মুখিন হচ্ছে। বর্তমানে ঈদের কারনে যাত্রীদের চাপ অত্যাধীক বেশি তাই দূর্ঘটনা এড়াতে প্রতিদিন নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে যদি পল্টুনটি পরিবর্তন করা না হয় তবে যে কোন সময় বড় ধরনরে দূূুর্ঘটনায় পড়তে হবে যাত্রীদের। বিষয়টি নিয়ে ঘাট ইজারাদার মো. মাহমুদ কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পল্টুনের জন্য বি আই ডব্লি¬¬উ টি এ বরাবরে বারবার আবেদন করার পরেও তারা নতুন পল্টুন দিবে বলেও এখন পর্যন্ত পল্টুন দিচ্ছে না।