সবুজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক//ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে যে ফলই আসুক আমরা তা মেনে নেবো। আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা তো অবশ্যই আশাবাদী যে, বাংলার জনগণ আমাদের ভোট দেবেন। তারা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এরপরও যদি জনগণ আমাদের ভোট না দেয় এবং যে ফলই আসুক আমরা তা মেনে নেবো।
আব্দুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোনও ব্যর্থ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে থাকতে চায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দেওয়ার কারণেই বিএনপি-জামায়াত ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতিকে বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ বিএনপি-জামায়াত থেকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের জরিপের ফলাফল জাতির সামনে প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আরডিসি, টাইম ম্যাগাজিন, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আবারও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে রাখার জন্য ভোট দেবেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এমন দাবি করে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে চরম দেউলিয়া ও ব্যর্থতার ভারে নুজ্য বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট জনগণের সমর্থন লাভে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তাদের অংশগ্রহণ করতে উদাসীন দেখা গেছে। মনোনয়ন বাণিজ্য, স্বাধীনতাবিরোধী দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার কারণে তারা দুর্নীতিবাজ তারেক-খালেদার নেতৃত্ব থেকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই তারা সংঘাত সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। একদিকে গণমাধ্যমে লাগাতার মিথ্যাচার, অপপ্রচার, গুজব সৃষ্টিতে লিপ্ত রয়েছে অন্যদিকে সহিংসতা সন্ত্রাস সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত আমাদের কিন্তু থাকতে হবে। ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে হবে এবং নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত আমাদের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে হবে এবং কোনও ধরনের অপপ্রচারের শিকার যেন না হই সে কারণে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশের ইতিহাসে যেকোনও নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘কিছু বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে যেকোনও নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ পরিবেশ আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ৩০ ডিসেম্বর জনগণের ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে জাতির ভবিষ্যৎ। আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে ভোটারদের প্রতিটি ব্যালটে নির্ধারিত হবে তার রূপরেখা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে নাকি আবারও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কবলে পড়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা মুখথুবড়ে পড়বে- তা নির্ধারণের দিন আগামীকাল।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবির কাউসার এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।