যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় হার্ভের ক্ষতি সামলে উঠতে খরচ হবে ১৮০ বিলিয়ন ডলার

এস এম রহামান হান্নান স্টাফ রিপোর্টার
যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন হার্ভের ক্ষতি সামলে উঠতে পুনর্গঠনের পেছনেই ১৮০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে বলে মনে করছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। তিনি বলেছেন, ২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনার চেয়েও এবার বেশি ক্ষতি করে গেছে হার্ভে। বিবিসির খবরের বরাত দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ডটকম জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের খরচের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে থাকা উচিত হবে না। টেক্সাস ও প্রতিবেশী লুইজিয়ানায় ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কাজ শুরু হলেও অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি নামেনি।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে পুনর্বাসন কাজের জন্য কংগ্রেসের কাছে ৭৮৫ কোটি ডলার চেয়েছে, যাকে গ্রেগ অ্যাবট কেবল ডাউন পেমেন্ট বলছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসনে ১২৫ বিলিয়ন ডলার লাগতে পারে। তবে রোববার ওই অংক সংশোধন করে তিনি ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার যত দূর মনে পড়ে ক্যাটরিনা ১২০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করে গিয়েছিল। কিন্তু এবার যে পরিমাণ ঘর-বাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মনে হয় এবার আমাদের ১৫৯ থেকে ১৮০ বিলিয়ন ডলার লেগে যাবে। ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ব্রক লং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটগুলোরও যে জরুরি প্রয়োজনের জন্য নিজস্ব তহবিল তৈরি করা দরকার, সেই শিক্ষা হার্ভে দিয়ে গেল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘূর্ণিদুর্গত মানুষের জন্য অপ্রত্যাশিত আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব এসেছে ভেনেজুয়েলা সরকারের কাছ থেকে। বিবিসি জানায়, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্হে আরিয়াসা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও দুর্গত মানুষের জন্য আবাসন নির্মাণে তারা ৫ লাখ ডলার দিতে চান। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির সহযোগী সংস্থা সিটগো যুক্তরাষ্ট্রে তেল বেচে যে লাভ করেছে, সেখান থেকেই এ সাহায্য দেয়া হবে। গত মাসে ওই তেল কোম্পানির ওপরই কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হারিকেন হার্ভের প্রভাবে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের মহাসড়কগুলো যেন এখন মহাসাগরে পরিণত হয়েছে। শক্তিশালী হারিকেন হার্ভের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু শহর। বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে পানিবন্দি ও ঘর-বাড়ি হারানো ৪৩ হাজার মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছে। হার্ভের প্রভাবে টেক্সাসে ভারি বর্ষণ ও বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।