সবুজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক//
মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না। আমার লাশ নিয়ে যাবে ভোট দিতে, হাতে আঙুল তো থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন হবে। সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব চলছে। কাউকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে পূর্ণ কমিশনের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। বৈঠকে ফ্রন্টের শীর্ষ ১২ নেতা উপস্থিত ছিলেন। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে চার পৃষ্টার একটি অভিযোগপত্র সিইসিকে দেয়া হয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, বিব্রতবোধ করাই যথেষ্ঠ নয়। কার্যকর ব্যবস্থা ইসিকে নিতে হবে। আমরা অবাধ নির্বাচনের ন্যুনতম পরিবেশ চাই। প্রতিটা ঘটনা একদিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিকার করতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী ইসিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেন তারা তা ব্যবহার করছে না।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমাদের অভিযোগ সম্পর্কে জেনে সিইসি বিব্রত হয়েছে। আমরা বলেছি, শুধু বিব্রত হলে চলবে না। এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. কামাল বলেন, আমি ৭০’ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনের এজেন্ট ছিলাম। ৫৫ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন পরিস্থিতি দেখিনি। সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে।
ঢাকায় কেবল একটি দলের পোস্টার আছে। অন্য দলের প্রার্থীদের কোনো পোস্টার নেই। অনেক খারাপ-ভালো নির্বাচন দেখেছি। এমন দেখিনি।
এর আগে বেলা ২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠক শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে চার কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ আরো কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।