সিইসিকে এক রাতের জন্য নিজ বাড়িতে থাকার আমন্ত্রণ বিএনপি প্রার্থী স্বপনের

গৌরনদী প্রতিনিধি//আজ সোমবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল গ্রামের নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেনে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এম. জহির উদ্দিন স্বপন অভিযোগ করেছেন, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী নেতা-কমীরা এলাকায় তার নির্বাচনী পোষ্টার টানাতে দিচ্ছে না। টাঙ্গানো পোষ্টার ছিড়ে ও পুড়িয়ে ফেলছে। মাইক প্রচারে বাঁধা দেওয়া ও প্রচার কর্মীর ওপর হামলা করা হচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে মাইক ও যানবাহন। ধানের শীষে’র মিছিলের মাঝে মোটর সাইকেল ঢুকিয়ে দিয়ে গায়ে পড়ে সংঘাত সৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। রাতের আধারে নেতা-কর্মীদের বাড়ী ভাংচুর ও অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে নিষ্পাপ শিশুসহ নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। জবরদস্তিমূলক ভাবে প্রতিপক্ষের দলে ও কর্মসূচীতে যোগদানে বাধ্য করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সরকারি ভাতা গ্রহণকারীদের ভাতা বন্ধের হুমকি দেয়া হচ্ছে। আহতদের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হচ্ছেনা। ভর্তি হওয়াদের বিনা চিকিৎসায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে হাসপাতাল থেকে নাম কেটে দেয়া হচ্ছে। থানায় ঢুকতে বাঁধা প্রধান করা হচ্ছে। থানায় কোনো ধরনের মামলা বা জিডি নেয়া হচ্ছে না। লোক দেখানো জিডি নিলেও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর দেয়া হচ্ছে না।
আজ দুপুর ১২টায় উপজেলার সরিকল গ্রামে ধানের শীষের প্রার্থী এম. জহির উদ্দিন স্বপনের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেয়া লিখিত বক্তব্যে এম. জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম না। গত বছর আমার নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে দলের কার্যক্রমে যুক্ত হই। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে আমার মনোনয়ন ঘোষণার মধ্যে দিয়েই মূলত স্থানীয় রাজনীতিতে আমার সরব উপস্থিতির পুনরায় সূত্রপাত।
কিন্তু গভীর হতাশার বিষয় হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে আমার নির্বাচনী আসনের রাজনীতিতে গৌরনদী পৌরসভার মেয়রসহ আমার প্রতিপক্ষ দলের কিছু নেতা কর্মী লাগাতার ভাবে প্রকাশ্যে, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে আসছে। এমনকি প্রকাশ্য জনসভায় আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার হুমকিও দেয়া হয়েছে। যার পরিনতিতে আমার প্রান নাশের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। যে সংবাদ জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে এবং এর ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্য্যপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তবে সকল চক্রান্ত ও হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে গত ১২ ডিসেম্বর আমি ‘’ধানের শীঁষের’’ প্রার্থী হিসেবে আমার পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারাভিযান শুর করেছি। ওই দিন “ধানের শীঁষের” প্রার্থী হিসেবে আমাকে কাছে পেয়ে আমার প্রিয় হাজার হাজার নেতাকর্মী দলীয় সহকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ আনন্দ ও উচ্ছসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিল। তাঁরা আমাকে সাথে নিয়ে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মিছিল করে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে আমার এই বাড়ীতে আমাকে পৌছে দিয়েছেন। যা আপনারা আপনাদের গনমাধ্যমে প্রচার করেছেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর আমার প্রচার কার্যক্রমের শুরুর দিনেই যে জনতার ঢল নামে তা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ব্যাপকভাবে ইর্ষান্বিত ও হতাশাগ্রস্ত করেছে। যার ফলশ্রুতিতে সেদিন রাত থেকেই তারা গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর লাগাতার নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। সেদিন আমার সাথে যারা “ধানের শীঁষের’’ মিছিলে অংশগ্রহন করেছিল সেই নেতাকর্মীদের বেছে বেছে তাদের বাড়ীতে হামলা চালানো হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমন কি তাদের পরিবারের নিষ্পাপ শিশু ও বয়স্ক সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেনা নির্যাতনকারীদের নিষ্ঠুরতা থেকে। কিছু গুরুত্বপূর্ন নেতাকর্মীকে চাঁপ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আওয়ামীলীগে যোগদানে বাধ্য করেছে। কিভাবে নিপীড়ন চলছে তার বর্ননা দিতে গিয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,
শুধু আমাদের নির্বচনী এলাকা নয়, ইতি মধ্যে আপনারা জেনেছেন আমাদের প্রার্থী সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ গুলি বিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ও ড. মঈন খানসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতারাই নির্মম নির্যাতনের শিকার। ড. কামাল, আ.স.ম আব্দুর রব, মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকের গাড়ী বহরে হামলা করা হয়েছে। সারা দেশেই আমাদের উপর একটি একতরফা যুদ্ধের পরিস্থিতি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে এ আসনে তার নিজের ও ধানের শিষের সমর্থকদের উপর যে লাগাতার অত্যাচার নির্যাতন চলছে এর শিকার হতভাগ্যদের একটি আংশিক তালিকা ও যে সকল নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর ও এলাকা ত্যাগের হুমকি দেয়া হয়েছে তাদর নামের তালিকা এবং যে সকল নেতাকর্মীদের দোকান বন্ধ করা হয়েছে ও এলাকা ত্যাগের হুমকি দেয়া হয়েছে তাদের নামের তালিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে যে, এসব নির্যাতন ও হামলার বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবদুর রহমান চোকদারকে লিখিত আকারে অভিযোগ দায়েরের উদ্দেশ্যে থানায় প্রেরণ করলে তার উপর নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়। এমনকি তাকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই সেখান থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রমান করে যে পুরো গৌরনদী পৌরসভা এলাকাকে তারা সন্ত্রাসের অভয়ারন্যে পরিণত করেছে। এ ক্ষেত্রে থানা প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ তারা আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রেরিত জিডি অফিসিয়ালি আজ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। উপরন্ত আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা জিডি তাঁরা গ্রহন করেছে। যা একজন প্রার্থী হিসেবেই শুধু নয় একজন নাগরিক হিসাবেও প্রাপ্য আমার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের বিভিন্ন জনসভায় হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট সাক্ষাতের মাধ্যমে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্য সভার মাধ্যমে আমার নিরাপত্তা বিধানের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারকে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে নির্দেশ প্রদান করেন। যা ইতোমধ্যেই আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আজ অবদি জেলা রিটার্নিং অফিসার বা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার নির্বাচন কমিশন প্রেরিত নির্দেশনার বিষয়ে দৃশ্যতঃ নূন্যতম কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ কনেননি।
এ পরিস্থিতি যে শুধু আমার সংসদীয় এলাকা গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার তা নয়। এটা এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ নির্বাচনী এলাকার চিত্র। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচারিত হচ্ছে। দক্ষিনাঞ্চলসহ সারা দেশে যতগুলো স্পর্শকাতর সংসদীয় আসন রয়েছে আমাদের নির্বাচনী এলাকাটি তাঁর মধ্যে অন্যতম একটি প্রধান স্পর্শকাতর এলাকায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ ভূমিকা ও শক্তিশালী জনমত আমাকে এখনো এরকম একটি স্পর্শকাতর এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রতি নিয়ত সাহস যুগিয়ে চলছে। কারণ শান্তিপূর্ণ জনগণের শেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে গণমাধ্যম। সেই আস্থা নিয়েই আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের জন্য “লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রস্তুত” বলে যে দাবি করেছেন তা সম্পূর্নই অসত্য। তিনি দেশের গন মাধ্যমকে বিশ্বাস করেন না বলেই এ মন্তব্য করতে পেরেছেন। কেননা গনমাধ্যমে প্রতিফলিত চিত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মন্তব্যের সম্পূর্ন বিপরীত। বাস্তব চিত্র দেখার জন্য আমি তাঁকে আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার বাড়ীতে একরাত অবস্থান করার জন্য বিনীত ভাবে আমন্ত্রন করছি। “লেভেল প্লেইং ফিল্ড” কতটা লেভেল আশা করি তিনি তা বুঝতে পারবেন।
গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র এবং কেবলমাত্র পথ দাবি করে তিনি বলেন, বিনা নির্বাচনে বা জনগণের স্বাধীন ভোট প্রদানে বাধা প্রদানই ভোট বিরোধী তৎপরতার শামিল। দীর্ঘদিন যাবৎ জনগণের সেই স্বাধীন ভোট প্রদানের অধিকারকে পাশ কাটিয়ে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে একটি “সাজানো নাটকে” পরিণত করা হয়েছে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে ঠূটোঁ জগন্নাথে পরিণত করা হয়েছে। বিচার বিভাগ, মানবধিকার কমিশন ও দুদকের মত প্রতিষ্ঠানকেও দলীয় করণ করা হচ্ছে। প্রকারন্তরে যা দেশের পুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থকেই ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের শ্লোগান “আমার ভোট আমি দেব, ভোটের জন্য জীবন দেব”। আর আমাদের প্রতিপক্ষ এই ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য গোটা রাষ্ট্রকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করছে।
রাজনীতিতে জন্ম নেয়া এই অসুস্থতা দূর করে একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করতেই আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। যার ধারাবাহিক পরিণতিতে দেশনেত্রী বেগমা খালেদা জিয়া উদ্দেশ্যেমূলক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় কারাগারে থাকলেও গড়ে ওঠেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রথিতযশা বিশ্বজোড়া খ্যাতিমান আইনজীবী ডক্টর কামাল হোসেন (যিনি আমাদের বরিশালের কৃতিসন্তান), স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আ.স.ম আব্দুর রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের জাতীয় নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আমাদের দল বিএনপির বিজ্ঞ মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গড়ে ওঠা এই ফ্রন্টকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমাদের দলের মার্কা ‘‘ধানের শীঁষ”কে সর্বসম্মতভাবে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সকলেই গ্রহণ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র যে চেতনার মূলমন্ত্র তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগামি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ই হচ্ছে একমাত্র পথ। যেহেতু আমরা জাতীয় ঐক্যমত্য চাই, তাই ‘‘ধানের শীঁষ’’ এর বিজয়ই কেবলমাত্র ভবিষ্যতের যে কোনো প্রতিহিংসাকে নাকচ করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সকলের কাছে জাতীয় কল্যাণের জন্য আগামি ৩০ ডিসেম্বরে আমাদের আসনসহ দেশব্যাপি একটি অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য আপনাদের বিবেকের সর্বোচ্চ্য প্রয়োগ প্রত্যাশা করছি। আপনাদের মাধ্যমে দেশি বিদেশী সকল নির্বাচনী পর্যবেক্ষক, দাতা সংস্থা, বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমকে আহবান করছি, আমার নির্বাচনী এলাকাকে বিশেষ ভাবে মনিটর করার জন্য।
সবশেষে প্রধান নির্বাাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি আহবান জানান এখনও যতটুকু সময় আছে আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করুন। দেশে একটা অবাধ ও গ্রহন যোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে দৃড়তার সাথে কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। ইতিহাসে আপনাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অন্যথায় উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় আপনারা এড়াতে পারবেন না।