স্বরূপকাঠিতে চাঞ্চল্যকর কাজী বাড়ির ডাকাতির ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির চাঞ্চল্যকর পৌর শহরের কাজী বাড়ি এলাকায় ব্যাবসায়ী কাজী জাকির হোসেন পান্নার বাসায় ডাকাতির ঘটনার অন্যতম আসামী সৈয়দ জসিম উদ্দিন ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নেছারাবাদ থানার এস আই মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রবীর কুমার দাসের আদালতে জসিম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। গত ৯ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ- কাউখালী সার্কেল) কাজী শাহনেওয়াজ, নেছারাবাদ থানার ওসি কে. এম. তারিকুল ইসলাম ও এস আই ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ঢাকার খিলগাও এলাকা থেকে বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ এলাকার মৃত মনসুর আলীর ছেলে জসিমকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর জুড়িসিয়াল আদালতে সোপর্দ করেন। পরবর্তিতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত জসিমের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জসিমের দেয়া স্বীকারোক্তি ও দেখানো এবং মামলার বাদীর সনাক্ত অনুযায়ী মামলার আরেক আসামী জসিমের সহযোগী মনিরের পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের ভাড়া বাসা হতে ডাকাতির লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। উলে¬খ্য গত ৮ জুলাই পৌর শহরের আকলম কাজী বাড়ি এলাকার ব্যাবসায়ী কাজী পান্নার বাসায় গভীর রাতে একদল মুখোশধারী ডাকাতরা প্রবেশ করে বাসার সকলকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে হাত পা বেধে ফেলে। এরপরে ডাকাতরা ওই বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, মোবাইল ফোন সহ বেশ কিছু মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরদিন ব্যাবসায়ী কাজী জাকির হোসেন পান্না বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৮৫০ টাকা ডাকাতির কথা উলে¬খ করেন। ওই মামলায় পুলিশ ইতিপূর্বে ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে রেজাউল করিম ও হায়দার ইসলাম নামের দুই আসামীও স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দী দিয়েছে।