গৌরনদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত ১৪,গ্রেফতার ৪

গৌরনদী প্রতিনিধি//
গৌরনদীতে আজ শুক্রবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বাসস্টান্ডের দক্ষিন মাথায় লোকাল কাউন্টার সংলগ্ন মার্কেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই পুলিশ সহ আহত ১৪ জন।আহতদের চার জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ও ছয় জনকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।এ ঘটনায় পুলিশ চার জনকে আটক করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা যায় গৌরনদী উপজেলা বাসস্টান্ড মার্কেটের রিসপা মেটাল ওয়ার্ক সপে কাজ করেন গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাখাওত হোসেন সুজনের আত্নীয় মোঃ হানিফ(২২)।একই মার্কেটের ইউনুস স্টিল সপের মিস্ত্রী সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আরিফ মিয়ার ভাতিজা মোঃ নয়ন হাওলাদার (১৯)।এই দুই ওয়ার্ক সপের মালিকরা জানান এদের মধ্যে অনেকবার তুচ্ছ ঘটনা ঘটে কয়েকবার মীমাংসা করা হয়।আজ এক ঢিল মারাকে কেন্দ্র উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয় এ সময় রিসপা ওয়ার্ক সপের হেলপার হানিফ রাসেল ও সাখাওত সুজনরে ফোন দিয়ে ঘটনা স্থলে আনে,অপরদিকে ইউনুস স্টীল ওয়ার্ক সপের হেলপার নয়ন তার কাকা আরিফ মিয়াকে ফোন দিয়ে আনে সে সময় আরিফ ও সুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ সময় পুলিশ সহ কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়।গুরুতর আহতদের বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারতরা হলেন সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ মিয়া(২৪),কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাখাওত হোসেন সুজন(২৮),জিহাদ মিয়া(১৯),রনি হাওলাদার(২৪),রিয়াজ(১৮),রাসেল(২৩),এবং বাকি আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।আহতরা সবাই উভয় দলের ছাত্রলীগের নেতা কর্মী।গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. দেওয়ান সালাম জানান ছয় জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।বাকি আহতরা সবাই শংকামুক্ত।গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) গোলাম সরোয়ার জানান,পৌর ছাত্রলীগের নেতা আতিক মিয়া,আরিফ মিয়া,জিহাদ মিয়াও সাখাওত হোসেন সুজনের সর্মথক মোঃ ফিরোজকে আটক করা হয়েছে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষ মামলা করেনি।