উজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নান্টুর সন্দেহভাজন খুনি রবিউল পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

দেবাশীষ সাহা দেবা,ক্রাইম রিপোর্টার//
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের পীরেরপাড় ফুলতলা এলাকায় সোমবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু’র সন্দেহভাজন খুনি রবিউল আলম (৩৫) নিহত হয়েছে। নিহত রবিউলের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কুকরিরচর গ্রামে। সে ওই গ্রামের লালচান এর ছেলে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানা পুলিশ গতকাল রাত ৮টার দিকে মাদারীপুর জেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে চেয়ারম্যান নান্টুর সন্দেহভাজন খুনি রবিউল আলমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল আলম জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে রবিউল আলমের দেয়া তথ্যমতে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত দিবাগত ৩টার দিকে তাঁকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে জল্লা এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পুলিশের ওই দলটি উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের পীরের পাড় ফুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে রবিউল আলমের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা পুলিশেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে দু পক্ষের মধ্যে বন্ধুকযুদ্ধ শুরু হয়। ওই বন্ধুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে রবিউল মারা যায়। বন্দুকযুদ্ধে এ সময় উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছে। তাঁদেরকে বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত রবিউল ইসলাম ছিল পেশাদার ভাড়াটে খুনি। সে দেশের বিভিন্ন স্থানে চুক্তি ভিত্তিতে হত্যাকন্ড ঘটিয়েছে। জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুকে হত্যার পূর্বে রবিউল আলম তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল আপনি কি চেয়ারম্যান ? এ কথার উত্তর পাওয়ার পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সে চেয়াম্যান নান্টুকে গুলি করে হত্যা করেছিল। বন্ধুকযুদ্ধে নিহত রবিউল আলমের বিরুদ্ধে আরো ৬টি হত্যা মামলাসহ ডাকাতি, ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগে সর্বমোট ১০টি মামলা রয়েছে।