কমলগঞ্জে প্রতিবন্ধী এক মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি//
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এক মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার( ৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় মধ্যভাগ গ্রামে মধ্যভাগ কবরস্থানের পাশে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে এ ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিত মেয়ের পরিবার ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা নারী এক অসহায় কৃষক ইমাম বক্সের মেয়ে আজিরুন বিবি (২৭)। ধর্ষণকারী একই গ্রামের নওয়াব আলী (৫০)। সে এলাকায় নিয়মিত নানা অসামাজিক কাজ করে থাকে বলে নির্যাতিত পরিবার জানায়।
ধর্ষিতার ভাই হাবিব বক্স মোবাইলফোনে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে এ প্রতিনিধিকে জানান, মধ্যভাগ কবরস্থানের পাশে নওয়াব আলীর কিছু ক্ষেতি জমি রয়েছে। সেখানে সে একটি ছোট ঝুঁপড়ি ঘরে থাকে। প্রতিবন্ধী বোনকে একা পেয়ে এই ঝুঁপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে নওয়াব আলী। ঘটনার পর ধর্ষণকারী এলাকা ত্যাগ করলে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণকারী প্রভাবশালী বলে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করে না। সে এই এলাকায় এ ধরণের অনেক ঘটনাও ঘটিয়েছে।
তবে অভিযুক্ত নওয়াব আলী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এক খন্ড জমি ক্রয় নিয়ে গ্রামের একটি পক্ষের সাথে তার বিরোধ চলছে। এ বিরোধে তাকে ধর্ষণকারী বানিয়ে এই মেয়েকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি প্রয়োজনে পরবর্তীতে তাদের বিরোদ্ধে মানহানির মামলা করারও কথা জানান।
আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি জগন্য কাজ। নারীটি মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ভাতাভুক্ত। তিনিও এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। এধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. পলাশ রায় বলেন. নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে এক প্রতিবন্ধী মেয়ে দুপুরে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীণ থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেন।