সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে পাল্টে যাচ্ছে স্বরূপকাঠির মানচিত্র

হযরত আলী হিরু,পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে দক্ষিন কৌরিখাড়া, গনমান , পুর্ব সোহাগদল, উত্তর কৌরিখাড়া, শান্তিহার, কুনিয়ারী, জলাবাড়ীসহ বিভিন্ন গ্রামের চিত্র। ভাঙ্গন কবলিত এ সমস্ত গ্রামের বহু পরিবার বসত ভিটে হারিয়ে আজ গৃহহীন। হাজার হাজার একর ফসলী জমি সহ বিস্তীর্ন জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত ২ দিনে উপজেলার দক্ষিন কৌরিখাড়া লঞ্চঘাট এলাকায় সন্ধ্যা নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে মো. মোস্তাহার মিয়া,মো. খলিল মিয়া ,রাম কর্মকার ও গৌতম কর্মকারের বসত ঘর ও আশরাফুল ইসলাম ,মো. হুমায়ুনের দোকান এবং পুর্ব সোহাগদল গ্রামের মো. বজলুর রহমান কিসলু , হাজি জিন্দেগীর হোসেনের বাগান বাড়িসহ প্রায় ৩ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ভাঙ্গন সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট বড় অনেক ফাটল । এর কয়েকদিন পূর্বে গনমান গ্রামে প্রায় ১০ কাঠা ফসলী জমি সন্ধ্যার অতল গর্ভে হারিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কৌরিখাড়া বিসিক শিল্প নগরী ও কৌরিখাড়া সাব ডাকঘর। নদী ভাংগনের ফলে দ. কৌরিখাড়া লঞ্চঘাট বার বার স্থানন্তর করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। সন্ধ্যার করাল গ্রাসে দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে দ.কৌরিখাড়া ও গনমান গ্রাম। ১৯৮৮ সনে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়ে আজও অব্যাহত রয়েছে। বিগত কয়েক বছর যাবৎ দফায় দফায় ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ায় পরাশ্রয়ে একটু মাথা গোজাবার ঠাঁই করে নিয়েছে। পৌত্রিক ভিটা মাটি হারিয়ে আজ তারা নিঃস্ব অসহায় ও সম্বলহীন। দক্ষিন কৌরিখাড়া গ্রামে বসত ভিটে হারা লোকজন জানান, তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা ,রাক্ষুসী সন্ধ্যা কেড়ে নিয়েছে তাদের শেষ আশ্রয় স্থল বসত ভিটে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় অনেক পরিবার এখনও তাদের শেষ আশ্রয়স্থল বসত ভিটায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে । এদিকে স্বরূপকাঠি Ñ পিরোজপুর সড়কের কামারকাঠির মোল্লাবাড়ি নামক স্থানে নদী ভাঙ্গনের ফলে চরম ঝুঁকির মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে। অব্যাহত এ নদী ভাঙ্গনের ফলে গত কয়েক বছরে শত শত একর ফসলী জমি, বিস্তীর্ন জনপদ সহ অনেক বসত ভিটে সর্বনাশা সন্ধ্যার অতল গর্ভে তলিয়ে গেছে। বিগত দিনে ভাংগন রোধে উত্তর ও দক্ষিন কৌড়িখাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন সামান্য এলাকায় ব্লক ও জিও টেক্স ব্যাগে বালু ভর্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হলেও দক্ষিন কৌরিখাড়া,পুর্ব সোহাগদল ও গনমান গ্রামের ভাংগন তীব্র আকার ধারণ করেছে।