শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজ নিয়েও অপপ্রচার

গৌরনদী (বরিশাল)প্রতিনিধি
ভাল ফলাফলে সাফল্য অর্জনে বার বার দেশের অন্যতম নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ। এ কলেজটি মাদারীপুর জেলার শীর্ষস্থান দলখ করাই কাল হল। এবার তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রকারীরা কলেজের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করতে ভয়ানক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সততার পুরস্কার হিসেবে মিলছে কুৎসা রটনা। তবে সকল ষড়যন্ত্র অপপ্রচার ও কুৎসা রটনাকে পিছনে ফেলে আগামিতেও কলেজটি তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলে প্রত্যায় ব্যক্ত করেছে পরিচালনা পর্ষদ।
একাধিক সূত্র জানায়, ডাসারে অবস্থিত সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের আবাসিক ছাত্রীদের খাবারের জন্য ঘোষের হাট বাজারের ব্যবসায়ী অরুন সাহা মুরগী সাপ্লাই আসছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহ পূর্বে জবাইকৃত এবং ড্রেসিং করা মুরগির সাথে ২টি মুরগী আসে অজবাইকৃত ও অড্রেসিং করা। তবে সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের ডাইনিং ম্যানেজার শেখ মাহবুবুল আলম যেহেতু সর্বদা সকল কিছু নিজে তদারকি করেন সেহেতু তার দৃষ্টিতে বিষয়টি ধরা পরে। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানাকে বিষয়টি অবগত করে এবং তিনি সেই দোকানিকে ডেকে পাঠান। তিনি (অরুন সাহা) এসে বিষয়টি দেখে তিনিও হতবাগ হয়ে যান। কেননা জবাইকৃত এবং ড্রেসিং করা মুরগির সাথে ২টি অজবাইকৃত এবং অড্রেসিং করা মুরগি কিভাবে এল তা তিনিও বুঝতে পারলেন না। তবে শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজে মুরগি সাপ্লাই দেয়ার জন্য আরো কয়েকজন মুরগি ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত তদবির চালিয়ে আসছিল। এটি যে তাদের ষড়যন্ত্র তা বুঝতে আর কারো বাকি রইল না। কিন্তু তার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই দোকান থেকে মুরগি আনা বন্ধ করে দেন। যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই মুরগি দুটি সনাক্তকরে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। সেখানে তাদের উক্ত সততার পুরস্কার না দিয়ে উপরন্ত স্থানীয় একটি পক্ষ ৭দিন ধরে জটলা পটলা পাকিয়ে অবশেষে কলেজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিবাবক বৃন্দ।