কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দামকে সম্মাননা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি//
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগানে মস্তকবিহিন লাশ দক্ষতার সাথে দ্রুত সনাক্ত ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক চম্পক দামকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হকসহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে বৈষ্ণবী ইরানী তাঁতীর (২৫) সাথে তার প্রেমিক ধলই চা বাগানের বাবলু দাস (২৫) ঝগড়া হয়েছিল। এ ঝগড়ার জের ধরে এক পর্যায়ে বাবলু দাস প্রেমিকা ইরানী তাঁতীর গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে ইরানী তাঁতীর গলা কেটে মস্তক নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডের পাশে ধানি জমিতে পুতে রাখে। পুলিশ ধলই চা বাগান এলাকা থেকে মস্তকবিহিন অবস্থায় ইরানী তাঁতীর লাশ উদ্ধার করেছিল।
এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হলে এর তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে উপ পরিদর্শক চম্পক দাম ছিলেন। দক্ষতার সাথে তদন্তক্রমে ৩ দিনির মধ্যেই সিলেট শহরে মেহেদী বাগ থেকে হত্যাকারী প্রেমিক বাবলু দাসকে গ্রেফতার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী গ্রহনে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদ্ধার করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে তদন্ত কর্মকর্তা চম্পক দাম। এ দক্ষতার জন্য তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস উপ পরিদর্শক চম্পক দামের সম্মাননা প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন। উপ পরিদর্শক চম্পক দাম বলেন, ধলই চা বাগানের শ্রমিকদের সহায়তা তিনি খুব দ্রুততার সাথে এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে দক্ষতা অর্জণসহ ভাল কাজের সম্মানও পাওয়া যায়।