আইয়ুব বাচ্চুকে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে

আবদুল্লাহ্ আল নোমান//
খোলা আকাশের নিচে/ জীবনের অনেক আয়োজন/ আমায় ডেকেছে/ তাই আমি বসে আছি/ দরজার ওপাশে/ দরজার ওপাশে…কিংবা সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে/সেই আমি কেন তোমাকে দুঃখ দিলেম/কেমন করে এত অচেনা হলে তুমি/কীভাবে এত বদলে গেছি এই আমি/ও বুকেরই সব কষ্ট দুহাতে সরিয়ে…অথবা এই রুপালি গিটার ফেলে একদিন চলে যাব দূরে বহুদূরে/সেদিন চোখে অশ্রু তুমি রেখো গোপন করে এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু পৃথিবীর মোহ ছেড়ে চলে গেছেন চির দিনের জন্য। শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এ কিংবন্তির ১ম জানাযা। জানাজা শেষে মরদেহ পাঠিয়ে দেয়া হবে চট্টগ্রামে গ্রামের বাড়িতে। শনিবার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে চিরনিন্দ্রায় শায়িত করা হবে তাকে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ৩০ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল বিভাগের পরিচালক ডা. মির্জা নাজিমুদ্দীন জানান, সকাল সাড়ে আটটায় বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আইয়ুব বাচ্চু। তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক তার গাড়িতে করে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো তার হার্টে রিং পরানো হয়। তবে সম্প্রতি তিনি ঘনঘন হৃদরোগে ভুগছিলেন। দুই সপ্তাহ আগেও তিনি শরীর চেকআপ করাতে হাসপাতালে এসেছিলেন।
ডা. নাজিমুদ্দীন বলেন, সম্প্রতি তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল। যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় কার্ডিওমায়োপ্যাথি। হাসপাতালে আনার সময় কার্যকারিতা শূন্যের ঘরে চলে আসে।