আগৈলঝাড়ায় যমজ মেয়ের বাল্য বিয়ে বাবা ও বরের কারাদণ্ড

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একই সাথে দুটি বাল্য বিয়ের অপরাধে কনের বাবা ও বরকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারপাইকা গ্রামের আমীর আলী শাহ’র যমজ মেয়ে, বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রুনু ও রানু’র বিয়ের আয়োজন করে তার পরিবার। শুক্রবার ও শনিবার বিয়ের দিন ধার্য করে তারা।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ ৫নং রতœপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার জেনে বিয়ে বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। ইউএনও বাল্য বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। তার নির্দেশ উপেক্ষা করে বরিশালের রহমতপুরের শাহ আলম সরদারের ছেলে আবুল কাশেমের সাথে বড় মেয়ে রুনুর বিয়ে দেয়া হয় শুক্রবার।
শনিবার আমীর আলীর অপর জমজ মেয়ে রানুকে একই উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের মোতালেব সরদারের ছেলে রমজান সরদারের (২৪)এর সাথে বিয়ে হয়। বাল্য বিয়ের বিষয়টি জেনে উপজেলা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা এবং এসআই মোশারফ হোসেন শনিবার বিকেলে বারপাইকা গ্রামে আমীর আলীর শাহ’র বাড়ি পৌছানোর আগে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে বাড়ি থেকে কনের বাবা আমীর আলী শাহ ও নব বিবাহিত বর রমজান সরদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস এর আদালতে আটককৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করলে বর রমজানকে ৭ দিন ও কনের বাবা আমীর আলী শাহকে ১০ দিনের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের গতকাল রোববার বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।