মহেড়া জমিদার বাড়ি অপরূপ সুন্দর নিদর্শন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি//টাঙ্গাইলের একটি সুন্দর নিদর্শন হলো মহেড়া জমিদার বাড়ি। ১৮৯০ দশকের পূর্বে স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৯০ সালে তৎকালীন জমিদাররা ৪ ভাই মিলে জমিদারি পত্তন করেন। তাদের নাম বুদাই সাহা, বুদ্ধু সাহা, হরেন্দ্র সাহা এবং কালীচরণ সাহা। তারা সবাই সাহা পদবী ধারণ করেই জমিদারি শুরু করেন। তাদের পরবর্তী সবাই রায় চৌধুরী পদবি গ্রহণ করেন।
মহেড়া জমিদার বাড়িটি মূলত ৪টি ভবনে বেষ্টিত। মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং কালীচরণ লজ। বাড়িটি মোট ৮ একর জমির ওপর অবস্থিত। এখানে কাছারি ভবন, পুকুর এবং মাঠ রয়েছে। বর্তমানে একটি ছোট চিড়িয়াখানা করা হয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনী মহেড়া জমিদার বাড়িতে হামলা করে এবং জমিদার বাড়ির কুলবধূসহ ৫ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে।
পরবর্তী সময়ে তারা লৌহজং নদীর নৌপথে এ দেশ ত্যাগ করে। এখানেই তখন মুক্তিবাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। ১৯৭২ সালে মহেড়া জমিদার বাড়িটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জোনাল পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়।
১৯৯০ সালে এটিকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়। টাঙ্গাইলে ঘুরে দেখার অন্যতম জায়গা এই মহেড়া জমিদার বাড়ি, তবে মহেড়া জমিদার বাড়িতে ঢুকতে হলে জনপ্রতি ৮০ টাকা টিকিট করতে হবে।