স্ত্রীর সাথে বিরোধের জেরে গৌরনদীতে যুবকের আত্নহত্যা

গৌরনদী প্রতিনিধি//
স্ত্রীর সাথে বিরোধের জেরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামের ইমান আলী খান (৪১) নামের তিন সন্তানের জনক এক যুবক শুক্রবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করেছে।
আতœহত্যাকারীর বড়বোন নাজমা বেগম জানান, তার ভাই ইমান আলী খান গত ১৯ বছর পূর্বে একই গ্রামের কালু ফকিরের মেয়ে শিউলী বেগমকে বিয়ে করে। এর পর তাদের সংসারে ২টি মেয়ে ও একটি ছেলে জন্ম নেয়। সংসারের অভাব অনটনের কারনে গত ২ বছর পূর্বে সে তার স্ত্রী শিউলী বেগম (৩৫) ওমানে পাঠায়। সেখান থেকে ছুটি নিয়ে গত রমজানে সে দেশে ফিরে আসে। এরপর প্রায়ই সে ওই দেশের লোকজনের সাথে মোবাইল ফোনালাপে ব্যাস্ত থাকত। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায়ই তার ঝগড়াঝাটি হত। স্ত্রীর সন্দেহজনক আচরনের কারনে সে স্ত্রীকে ফের ওমান যেতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী শিউলী বেগম ছোট মেয়েকে ইমান আলীর কাছে রেখে সংসারের যাবতীয় মালামালসহ বড় মেয়ে ও ছেলেটিকে নিয়ে গত ১৫ দিন পূর্বে পিত্রালয়ে চলে যায়। এরপর একাধিক বার ইমান আলী স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে ব্যার্থ হয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার গভীর রাতে নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে কাপড়ের ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আতœহত্যা করে। গতকাল শনিবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ গতকাল শনিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠায়।
ননদ নাজমা বেগমের অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে ইমান আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তার স্বামী তেমন কোন কাজ করতো না। সারাক্ষন নে নানা রকম নেশায় ডুবে থাকত। সংসারের প্রতি কোন খেয়াল রাখতো না। এ নিয়ে কথা বললে স্বামী তাকে মারধর করতো। এ কারনে রাগ করে সে বাবার বাড়ি যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।