জনগণের সেবা করাই মূল লক্ষ্য-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অমিত কাঞ্জিলাল,স্টাফ রিপোর্টার//
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের সেবা করাই মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ভোট দেয়া না দেয়া জনগণের অধিকার।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ ৮ জেলার ২০ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই যেন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ সৃষ্টি হয় সেই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ চলছে। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালের পাশাপাশি আরো ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ নার্স তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আরো মানসম্মত হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ করে দিয়েছি। দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দিয়েছিলাম। দুটো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে করা হয়েছে আরো একটা করার পরিকল্পনা আছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারে আমরা একটা করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেবো।
শেখ হাসিনা বলেন, এভাবে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি শুধু হাসপাতাল করে দেয়া নয়, বিশেষজ্ঞ তৈরি করা, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, আমি যখনি যে কাজ করি, যে পদক্ষেপ নেই তখনি খেয়াল রাখি যেন জনগণের উপকার হয়। জনগণ সেবা পায়। ক্ষমতা আমার কাছে কোন ভোগের বস্তু নয়। এটা দায়িত্ব পালন। জনগণের সেবা করাই আমার প্রথম কর্তব্য। তাই এটাকে আমি কর্তব্য হিসেবেই নেই।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের জন্য আলাদা ফান্ড গড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকার একটা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে দেব যা শুধুমাত্র হত দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা হবে।বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। যেটি ৯৬’ এ ক্ষমতায় এসে আমরা উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তুলেছিলাম।