দেহ ব্যবসায় শীর্ষে এই দেশগুলো

সবুজ বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক//
অর্থের বিনিময়ে শরীরী খেলায় মত্তের নামই দেহব্যবসা। বিশ্বের কোথাও এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। কোথাও আবার আইনি ব্যধতা আছে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই বেআইনি হয়েও রমরমিয়ে চলে। সম্প্রতি হাভোস্কোপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এক রিপোর্ট প্রকাশ করে এই বিষয়ে। এক নজরে দেখে নেয়া যাক কোন দেশ দেহ ব্যবসায় কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে—
১. চিন : বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে দেহ ব্যবসার রমরমা বললে কম বলা হবে। সবচেয়ে বেশি দেহব্যবসার কেন্দ্র চিনেই রয়েছে। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি যৌনতা বিষয়ক পণ্য যেমন সেক্স টয় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় চিনেই। চিনে দেহব্যবসায় বছরে ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন হয়। যা বিশ্বের বাকি দেশগুলির চেয়ে অনেক বেশি।
২. স্পেন : দেহ ব্যবসার স্বর্গরাজ্য। বছরে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেন হয়।
৩. জাপান : দেহব্যবসা নিয়ে আইন বেশ সরল। এতে জাপানের দেহ ব্যবসা বেশ জাঁকিয়ে চলছে। দস্তুর মতো পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন বাজেটের পর্যটনের ব্যবস্থা রয়েছে এদেশে। জাপানে দেহব্যবসায় বছরে ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লেনদেন হয়।
৪. দক্ষিণ কোরিয়া : এদেশে লালসা নিয়ে শুচিবায়ু নেই। ক্ষণিকের বিছানার সঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে রয়েছে একাধিক এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়াও মেলে সুলভে। দক্ষিণ কোরিয়ায় দেহব্যবসায় বছরে আয় ১৪.৬ মিলিয়ন ডলার।
৫. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোন তথ্য মিলেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে দেহব্যবসা থেকে ৭.৬ মিলিয়ন ডলার আয় হয়।
৬. ভারত : বিশ্বের সবচেয়ে দেহ ব্যবসার রমরমা আসর ভারতের সোনাগাছী। তবে আয়ের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
৭. কিউবা : নিসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য খ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র কিউবায় প্রতি বছর পাড়ি জমান অজস্র পর্যটক। তবে এদের বড় একটি অংশ আসেন দেহের আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, মনপছন্দ নাবালক দেহ ব্যবসায় সুলভে মেলে এই দেশে। আয়ের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
৮. রাশিয়া : গত এক দশকে রাশিয়ায় দেহ ব্যবসার রমরমা শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যটকরাই এখানে যৌনতার টানে ছুটে আসেন। তবে রুশ যৌন বাজারে দালালদের দাপট বেশি। তাই, দালাল থেকে সাবধান থাকাটা খুব দরকার।
৯. আর্জেন্টিনা : ১৮৮৭ সাল থেকে এদেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহ ব্যবসায়ীদের চাহিদা তুঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকেও সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানা উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। দেহ ব্যবসায় পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে ম্যারাডোনা দেশ।
১০. বুলগেরিয়া : দেহ ব্যবসায় পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহ ব্যবসায়ী ভিড় জমান। তাদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশী দেশ থেকেও।
১১. কলম্বিয়া : অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা বলে দেহ পর্যটনস্থল হিসেবে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দেশ। দরিদ্র দেশে এসে নামমাত্র খরচে দেদার ফূর্তি লুটতে প্রতি বছর পাড়ি জমান ইউরোপ ও আমেরিকার পর্যটকরা।
১২. কম্বোডিয়া : দুনিয়ার অন্যতম বড় দেহ ব্যবসা চালায় এই দেশ। কিন্তু তার বেশির ভাগই অবৈধ। তবে আইনের ফাঁক গলে অবাধ মিলামেলার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতি বছর ছুটে আসেন বিশ্বের কামতাড়িত মানুষ।
১৩. প্রাহা : স্লোভাকিয়ার প্রাহা শহর ১৯৮৯ সাল থেকে ইউরোপের রাজধানী তকমা পেয়েছে। অসংখ্য জেন্টলম্যানস ক্লাব অথবা রিল্যাক্সেশন ক্লাবে অল্প খরচে শরীরী বিনোদনের সম্ভার মেলে। হিংসাত্মক ঘটনাও এখানে সংখ্যায় খুব কম।
১৪. নেপাল : রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহ ব্যবসা রমরমা। বাণিজ্য জমে উঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধপল্লির অন্ধকার আস্তানামায় দেহ ব্যবসায়ীর বসত ভিটেতেও। কাঠমান্ডুর থামেলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার, যেখানে অবৈধ দেহ ব্যবসার পসার সাজানো। এছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কেবিন ও ডান্স বারগুলিতেও মিলবে অফুরন্ত দেহজ বিনোদনের সম্ভার।
১৫. থাইল্যান্ড : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে নয়া ঠিকানা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড। ব্যাঙ্ককের বিখ্যাত দপিং পিংদ শো-ই হোক অথবা বিভিন্ন স্পা-এর ছদ্মবেশে যৌনতার আস্তানা। দেশজুড়ে অবাধ ও নিরাপদ দেহ ব্যবসার রমরমা বছরভর। তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের নারী-পুরুষরকে সহজেই আকৃষ্ট করছে।
১৬. জামাইকা : শুধুমাত্র দেশের দেহ ব্যবসায়ীরাই নন, ভ্রমণরত বহু মহিলা পর্যটকও এদেশে শরীর বিকোতে দ্বিধাবোধ করেন না।
১৭. কেনিয়া : আফ্রিকার এই দেশে দেহ ব্যবসার নানা রূপ। স্ট্রিপ ডান্স বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পা-তে সুলভে দৈহিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এমনকি ছুটি কাটাতে এসে টানা কয়েক দিনের জন্যও সঙ্গী মেলে কেনিয়ায়।
১৮. ম্যাকাউ : চিনের দেহ ব্যবসা বৃদ্ধির পিছনে নানা কারণ রয়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে দেহের তৃপ্তির খোঁজে ভিড় জমান। সস্তায় নারীদেহ পাওয়ার এমন সুযোগ পৃথিবীর কম দেশেই মেলে।
১৯. লাটভিয়া : পূর্ব ইউরোপের এই দেশে দেহ ব্যবসায় আধিক্য বছরভর পর্যটক সমাগমের অন্যতম কারণ। এছাড়া এদেশে মদের দামও বেশ সস্তা। ছুটিতে অঢেল ফূর্তি করতে এই কারণেই লাটভিয়াকে ইদানীং পাখির চোখ করেছে ইউরোপ।
২০. ভেনেজুয়েলা : ভেনেজুয়েলার মার্গারিটা দ্বীপে অসংখ্য রিসর্টে দেহ ব্যবসা অবাধ আয়োজন। এদেশে দেহ ব্যবসা বৈধ। পর্যটন-ক্লান্ত পুরুষদের অভ্যর্থনা জানাতে হোটেলের লবিতে খোলামেলা সুন্দরীদের সারিবদ্ধ উপস্থিতি রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা হিসেবে এখানে দেহ ব্যবসা কর্মীদের ভাড়া করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কামতাড়িতা মধ্যবয়সীনিদের জন্য তরতাজা তরুণও এখানে সহজলভ্য।
২১. আমস্টারডাম : কথিত আছে, নেদারল্যান্ডের এই শহরেই বিশ্বের সেরা সুন্দরী দেহ ব্যবসায়ীদের দেখা মেলে। এখানে যৌন ব্যবসা সম্পূর্ণ বৈধ ও সরকার নিয়ন্ত্রিত বলে অত্যন্ত নিরাপদ। এখানকার যৌন ব্যবসার খ্যাতি সারা বছর কয়েক কোটি পর্যটককে আকর্ষণ করে।
২২. লাস ভেগাস : আমেরিকার এই শহর সব পেয়েছির ঠিকানা। শহরে দেহ ব্যবসা রমরমা সম্পর্কে ইঙ্গিত করতে বলা হয়, হোয়াট হেপেনস্ ইন ভোস, রিমেইনস ইন ভেগাস। এখানে দেহ শুধু ব্যবসা অথবা বিনোদন নয়, শরীরী ভাষা উদযাপনেরও মাধ্যম। মরুভূমি অধ্যূষিত নিসর্গে অচেনা সঙ্গীর দেহজ সান্নিধ্য বেঁচে থাকার ক্ষণিক রসদ জোগায় বই কি!
২৩. গ্রিস : ব্যবসায়িক যৌনতা বৈধ গ্রিসে। প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর চিকিতৎসকরা দেহপসারীনিদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করেন। তবে এখানে বহু মহিলাই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পাচার হয়ে আসেন। গ্রিসের দেহদাস প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
২৪. তেল আভিভ : গোটা ইজরায়েলের মতোই এই শহরেও দেহ নিয়ে কোনো লুকোছাপা নেই। বিশ্বের পর্যটনের তালিকায় অবশ্য সদ্য নাম তুলেছে তেল আভিভ।
২৫. বাহরাইন : তথাকথিত রক্ষণশীল এই দেশটিতে ইদানীং দেহ ব্যবসা বেশ রমরমা। খরচও পড়ে ইউরোপের তুলনায় অনেক কম।
২৬. ব্রাজিল : শুধুমাত্র ফুটবল বা কফি নয়, লাতিনীয় সুন্দরীদের দেহের ভাঁজে কুপোকাত গোটা দুনিয়া। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই দেহে পর্যটনের অন্যতম সেরা ঠিকানা হিসেবে গত এক দশকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেহ-বিলাসের বিবিধ উপকরণের সম্ভার আছে এখানে।