আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের জনসাধারণের ঈদে ঘরমুখী যত্রায় দূর্ভোগ চরমে

জয় রায়, আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
“ওস্তাদ ব্রেক করেন; সামনে পুকুর” গতকাল দুপুরে আগৈলঝাড়া বাইপাস সড়কে গাড়ি চলাচলের সময় বরিশাল-খুলনা লাইনে চলাচলকারি গাড়ির ড্রাইভারকে এমনিভাবে সংকেত দিয়েছিলেন গাড়ির হেলপার রফিক। উপজেলা সংলগ্ন বাইপাস ৪ কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে পানি জমে সড়কের মাঝখানে পুকুর বা জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। আর এসব খানা-খন্দ ও গর্ত অতিক্রম করে ঈদে ঘরমুখী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তির সড়ক পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সবসময় গাড়ির সংখ্যা স্বাভাবিক থাকলেও ঈদুল-আযহা উপলক্ষে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে সড়কের অবস্থা পূর্বের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী খারাপ হয়ে পড়ে। সম্প্রতী সময়ে এই সড়কে গাড়ীর যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে একাধিকবার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এত এই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে। বরিশালের আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না করায় ঈদুল আযহার যাত্রীদের যানবাহনে চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সারাপথ গাড়ীতে যাত্রীরা ভাল আসলেও আগৈলঝাড়া বাইপাস সড়কের শুরু শেষ পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কে তাদের ঈদ যাত্রা ম্লান করে দিয়েছে। রাতের অন্ধকারে চলতে গিয়ে ঘটছে দূর্ঘটনা। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় গর্ত আরো বড় আকার ধারন করছে। কিছু গর্তে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইট-বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানাগেছে, বরিশালের গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক খানাখন্দ ও গর্ত হয়ে লোকজন, যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ কারনে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে টেন্ডার আহবান করেন। টেন্ডারে বরিশালের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এম. খান গ্রুপ কাজটি পায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাইপাসের চার কিলোমিটার বাদে ১২কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করে। দীর্ঘদিনেও বাইপাসের চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধের পথে রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারনে এই চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ করা হয়নি দীর্ঘদিনেও। এ ব্যাপারে সওজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম এ হানিফ বলেন, বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবেন। বর্তমানে গাড়ী ও লোকজনের চলাচলের জন্য ঠিকাদার বালু ও ইট দিয়ে গর্ত ভরে দিয়েছেন।