
পর্তুগালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু ॥ বাড়িতে শোকের মাতম
কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার)সংবাদদাতা
পর্তুগালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের যুবক আতিক-উর-রহমানের মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে। সে বড়চেগ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে। বাড়িতে রেখে যাওয়া আতিকের সখের কিছু সামগ্রী পর্তুগালে পাঠানোর জন্য দু’দিন আগে সিলেটে এক পর্তুগাল প্রবাসীর বাসায় পাঠানো হয়। তবে সখের সামগ্রী দেখার আগেই সে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। পর্তুগালে এ দুর্ঘটনার পর গতকাল (১৬ আগস্ট) বুধবার ভোর রাতে তার গ্রামের বাড়িতে খবর আসার পর পরিবারে শোকের মাতম শুরু হয়।
জানা যায়, শমশেরনগরের আব্দুল মছব্বির একাডমী থেকে এসএসসি পাশ করে সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ২০১৫ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য গমন করে। প্রায় ৮ মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে সে পর্তুগাল চলে যায়। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দান করে। তার কয়েকজন সহযোগীদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফেরার পথে পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি কার তাদের মাইক্রোবাসকে আঘাত করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় আতিককে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাইক্রোবাসের বাকী যাত্রীরা কিছুটা আহত হলেও গুরুতর কিছু হয়নি।
নিহত আতিকের গ্রামের বাড়ি বড়চেগ গিয়ে দেখা যায়, আতিকের বাসায় স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে গেছে। আতিকের হৃদরোগে আক্রান্ত বাবা আব্দুল জলিল জানান, তিন ছেলের মধ্যে আতিক ছিল সবার ছোট। বড় ছেলে আব্দুল মোক্তাদির (৩২) সৌদি আরবে আছে। দ্বিতীয় ছেলে রহমান সজিব (২৪) ব্রাজিলে আছে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা আরও জানান, বাড়িতে রেখে যাওয়া তার সখের কিছু সামগ্রী পর্তুগালে পাঠানোর জন্য দুই দিন আগে সিলেটে এক পর্তুগাল প্রবাসীর বাসায় দিয়ে আসা হয়। তার আগেই ছেলে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার সখের সামগ্রী সে পেলো না।
আব্দুল জলিল জানান, যুক্তরাজ্যে তার এক ভাই ( আতিকের চাচা) আছেন। তিনি ঘটনার খবর পেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে পর্তুগাল চলে গেছেন। তিনি সেখানে সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।