শুরুটা দারুণ হলো ভারতের

রাজু ফকির স্পোর্টস ডেস্ক//
যে মাঠে এশিয়ার কোনো দলের কাছে কখনও টেস্ট হারেনি ইংল্যান্ড, সেই এজবাস্টনে শুরু হয়েছে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। বুধবার প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংলিশরা করেছে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান।
ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনে দলগুলি তাকিয়ে থাকে পেসারদের দিকে। সবাইকে চমকে দিয়ে এদিন ভারতের নায়ক অশ্বিন। নিয়েছেন চার উইকেট। খারাপ করেননি ভারতের মূল তিন পেসারও।
দিনের সবচেয়ে আলোচিত উইকেট অবশ্য বোলারদের কারও নয়। সেটির নায়ক বিরাট কোহলি। জো রুট যখন ছুটছেন সেঞ্চুরির দিকে, জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে তার জুটিকে মনে হচ্ছে অপ্রতিরোধ্য, তখনই ভারতীয় অধিনায়কের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট ইংলিশ অধিনায়ক।
দিনের খেলার পালাবদলের শুরু সেখান থেকেই। তখনও পর্যন্ত এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড নাটকীয়ভাবে হারায় পথ। জ্বলে ওঠেন অশ্বিন।
ভারতীয় অফ স্পিনার অবশ্য দারুণ সহায়তা পেয়েছেন উইকেট থেকেও। ইংল্যান্ডে টেস্টের প্রথম দিনে যেমন সিমিং উইকেট থাকে, এবারের এজবাস্টন তার ব্যতিক্রম। সকাল থেকেই মিলেছে টার্ন। উইকেট ছিল একটু মন্থরও। প্রথম দিনেই অশ্বিনকে হাত ঘুরিয়েছেন ২৫ ওভার।
অশ্বিনের হাতে কোহলি বল তুলে দেন ম্যাচের সপ্তম ওভারেই। সাফল্য মেলে তার দ্বিতীয় ওভারেই। অফ স্পিনারদের স্বপ্নের এক ডেলিভারিতে বোল্ড অভিজ্ঞ অ্যালেস্টার কুক।
প্রথম সেশনে উইকেট সেই একটিই। ৯ রানে স্লিপে জীবন পাওয়া কিটন জেনিংস জুটি গড়ে তোলেন রুটের সঙ্গে।
৭২ রানের এই জুটি ভেঙেছে লাঞ্চের পর জেনিংসের বিদায়ে। ৪২ রান করে মোহাম্মদ শামির বলে বাঁহাতি ওপেনার বোল্ড হন খানিকটা দুর্ভাগ্যে। বল তার ব্যাটে লেগে দুই পায়ের ফাঁক গলে পিচে দুইবার ড্রপ খেয়ে আলতো করে চুমু দেয় স্টাম্পে।
শামি দ্রুত ফিরিয়ে দেন ডাভিদ মালানকেও। এরপরই ইংল্যান্ডের সেরা সময়। রুট ও বেয়ারস্টো দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে।
দুজনের ব্যাটিংয়ের কোনো জবাবই পাচ্ছিল না ভারত। জুটির শতরান হয়ে যায় ১৩৭ বলেই। অভিষেকের পর সবচেয়ে কম সময়ে ৬ হাজার রান করার রেকর্ড গড়েন রুট।
সেই নিয়ন্ত্রণ ইংল্যান্ডই আবার তুলে দেয় ভারতের হাতে। আত্মঘাতী দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট দারুণ খেলতে থাকা রুট। মিড উইকেটে কোহলির দুর্দান্ত ফিল্ডিং আর সরাসরি থ্রো প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ফেরায় ৮০ রানে।
অধিনায়কের বিদায়ের পর দায়িত্বটা নিতে পারেননি বেয়ারস্টো। ৮৮ বলে ৭০ রান করে উমেশ যাদবের বল টেনে আনলেন স্টাম্পে।
বিপজ্জনক জস বাটলারকে রানই করতে দেননি অশ্বিন। শেষ বড় বাধা বেন স্টোকসও শিকার এই অফ স্পিনারের। ২৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।