আগৈলঝাড়ায় হিস্টিরিয়ায় আক্রন্ত ৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি

0
(0)

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৮ শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও ৪ শিক্ষার্থী একই রোগে আক্রন্ত হয়েছিল। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পরেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকেরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে না যাওয়ায় অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার রাজিহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে (এগারোটার দিকে) ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমি আক্তার, সোহাগী আক্তার, শান্তা আক্তার, জাহিদ আকন, ফারদিন হাওলাদার, সুমন সরদার, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মীম আক্তার, সৃষ্টি রায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরে। ওই সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা দিকবেদিক ছোটাছুটি শুরু করে। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আফরোজা খানম তার মেয়ে সুমিকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যদিকে স্থানীয়রা সোহাগী ও শান্তাকে দুঃস্থ মানবতা হাসপাতালে, মীম আক্তার ও সৃষ্টি রায়কে উদ্ধার করে স্থানীয় মারিয়া মাদার ক্লিনিকে ভর্তি করেছে। অপর অসুস্থ জাহিদ আকন, ফারদিন হাওলাদার, সুমন সরদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পরলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার মন্ডল জানান তিনি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকেরা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে না যাওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সূত্র জানায়, এর আগে সোমবার ও মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে একইভাবে ৪জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পরেছিল। শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে উপজেলা হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে তিনি জানান, ঘটনা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে মারিয়া মাদার ক্লিনিকে দেখতে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো.আলতাফ হোসেন জানান, এটা একটি মানসিক রোগ। শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এটাকে ফাংশনাল ডিজ অর্ডার বা এইচপিআর বা হিস্টিরিয়া রোগ বলে। এ রোগে একজন আজ্ঞান হয়ে গেলে তার দেখাদেখি অপরজনও অজ্ঞান হয়ে যায়। তবে অসুস্থ শিক্ষার্থী এখন ভাল আছে। বিষয়টি তিনি মনিটরিং করছেন বলেও জানান।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.