নাজিরপুরের সেই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে
হযরত আলী হিরু,পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার তালতলা নদী থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত লাশের পরিচয় মিলেছে। ওই যুবকের নাম কাজী অনর্ঘ আহম্মেদ (১৯)। সে ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার ছোট মানিকা গ্রামের কাজী মহিউদ্দিন আহম্মেদের একমাত্র ছেলে। তবে তারা স্বপরিবারে বরিশাল নগরীর বৌদ্ধপাড়া এলাকার স্বপ্নের ঠিকানা নামক বাড়ী ৩য় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। গত মঙ্গলবার রাতে কাজী মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও তার স্ত্রী পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে জুতা, হাতঘড়ি ও জামা-কাপড় দেখে তাদের সন্তানের লাশ সনাক্ত করেন। নিহত কাজী অনর্ঘ আহম্মেদ এবার বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। তার পিতা কাজী মহিউদ্দিন আহম্মেদ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও মা মোসা. সালমা বেগম পটুয়াখালী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের মালিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তালতলা থেকে অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে যুগিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে স্থানীয় চৌকিদার ওসমান শেখকে বাদী করে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ময়না তদন্ত শেষে লাশটি বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনের প্রক্রিয়া চলছিলো। এ সময় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে জুতা, হাতঘড়ি ও জামা-কাপড় দেখে লাশটি সনাক্ত করেন নিহত কাজী অনর্ঘ আহম্মেদের বাবা-মা। পরে লাশটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘কাজী অনর্ঘ আহম্মেদের মৃত্যুতে তার মা-বাবাসহ পুরো পরিবার শোকার্ত। এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে তারা জানিয়েছেন ১৮ জুলাই বরিশালের বাসা থেকে বের হয়ে অনর্ঘ আর বাসায় না ফেরায় তারা ১৯ জুলাই বরিশাল কোতয়ালী থানায় নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি জিডি করেছেন।