ভান্ডারিয়ায় বিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে পা বাধাঁ অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাথরুম থেকে অচেতন অবস্থায় ৬ষ্ঠ শ্রেনির এক ছাত্রীকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র জানায় মঙ্গলবার উপজেলার থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী রাফিজা ও ইভা স্কুল ভবনের ২য় তলার বাথরুমে গিয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পেয়ে তারা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে। অনেক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর কাউকে বের হতে না দেখে ঐ শিক্ষার্থীরা দরজার ফাঁকা দিয়ে উকি দিয়ে কাউকে পরে থাকতে দেখে শিক্ষকদের খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে এসে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছের হোসেন বিকল্প ব্যবস্থায় দরজা খুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ইসরাত জাহান ইস্পাকে হাত পা ও মুখ বাঁধা এবং অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসা দিলে তার অবস্থা স্বাভাবিক হয়। ইসরাত জাহান ইস্পা বলে,অপরিচিত এক লোক তাকে বেঁধে রেখে চলে যায়। ইসরাত উপজেলার নদমুলা গ্রামের মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের মেয়ে। এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জল তালুকদার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সঠিক ঘটনা উৎঘাটনে তাগিদ দেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ঘটনা তদন্তের বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূরুন্নাহার বেগমকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ ঘটনায় অভিভাবক সহ সচেতন মহল জড়িত যারাই হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ভান্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মেয়েটির সাথে কথা বলেছি। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।