কমলগঞ্জে নগদ অর্থ স্বর্ণসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি//
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তৈরী খাদ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দু’টি বাসার লোকজনকে অবচেতন করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামে একটি ভবনের দোতলার জানালার গ্রীল কেটে প্রবেশ করে দুবৃত্তরা এ ঘটনা সংঘটিত করে।
আক্রান্তদের স্বজন ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, রাতে কোন এক সুযোগে দুর্বৃত্তরা শিংরাউলী গ্রামের আব্দুল হামিদ চৌধুরীর ভবনের দোতলায় উঠে ভাড়াটে নিত্যানন্দ দেবনাথ ও সৈয়দ তৈয়ব উদ্দীনের বাসার রান্না ঘরে তৈরী খাবারে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে রাখে। দুটি বাসার লোকজন খাবার খেয়ে ঘুমে মগ্ন থাকলে গভীর রাতে রান্না ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা নিত্যানন্দ দেবনাথের আলমারী ভেঙ্গে ভারতীয় ভিসাযুক্ত দুটি পাসপোর্ট, নগদ দেড় লাখ টাকা, ৩টি মোবাইল ফোন ও ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।
একইভাবে সৈয়দ তৈয়ব উদ্দীনের বাসার আলমারী ভেঙ্গে তছনছ করে ৩টি মোবাইল ফোন, নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। খাদ্যে মেশানো ঘুমের ঔষধের প্রতিক্রয়ায় দুটি বাসার কেউ কথা বলতে পারেননি। তবে ভবন মালিক আব্দুল হামিদ চৌধুরী বলেন, এ ধরের অভিনব প্রথায় দু:সাহসিক চুরি এলাকায় এর আগে কখনও ঘটেনি। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আক্রান্ত দুটি বাড়ি পরিদর্শন করেছি। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় কোন অভিযোগ হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ ভবনের দেয়ালের সাথেই রয়েছে অনেকগুলি সুপারি গাছ। ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা আগে থেকে পরিকল্পনা করে সুপারি গাছ বেয়ে উপরে উঠে অভিনব প্রথায় দোতলার এ দুটি বাসার রান্না ঘরের খাবারে ঘুমের ঔষধ মিশিয়েছে। পরে রাত গভীর হলে ও বাসার লোকজন গভীর ঘুমে থাকলে সে সুযোগে জানালাল গ্রীল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও অর্থসহ মালামাল লুটে নিয়ে যায়।