থির্বোত কোর্তোয়া ফ্রান্সের উদযাপন দেখেননি

রাজু ফকির,স্টাফ রিপোর্টার//
রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া ফাইনালের মধ্য দিয়ে। দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। আর উমতিতির গোলে হারার ওই ম্যাচের কারণে ফাইনাল ম্যাচের শেষ দেখেননি বেলজিয়াম গোলরক্ষক থির্বোত কোর্তোয়া। কারণ তিনি ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের সাক্ষী হতে চাননি। চেলসি গোলরক্ষক কোর্তোয়া ফ্রান্সের শিরোপা উদযাপনের দৃশ্য সহ্য করতে পারতেন না বলেই ওই কাজ করেন।
এর আগে সেমিফাইনালের ম্যাচে বেলজিয়াম গোলরক্ষক ফ্রান্সের খেলার ধরণ নিয়ে সমালোচনা করে। ফ্রান্স কর্ণার কিক থেকে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় উমতিতির গোলে ১-০ গোলের লিড নেয়। এরপর ফ্রান্স রক্ষণে বেশি মনোযোগ দিয়ে খেলতে থাকে। অনেকগুলো আক্রমণ করেও কোন কুলকিনারা করতে পারেনি বেলজিয়াম ফুটবলার হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনি, লুকাকুরা।
ম্যাচের পরে বেলজিয়াম গোলরক্ষক বলেন, বেলজিয়াম ভালো খেলেও সেমিফাইনালে হেরেছে। ফাইনালে যাওয়ার যোগ্য দল ছিল তারা। কিন্তু ফ্রান্সের অতি রক্ষণাত্মক মানসিকতার কারণে তারা সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছে। এরপর কোর্তোয়ার জবাবে আবার কথা বলেন ফ্রান্স ফুটবলাররা। তাদের মতে, ফাইনালে উঠেই ফ্রান্স এতেই তারা খুশি। কে কি বলল তাতে কান নেই তাদের। এছাড়া নিজেদের খেলার ধরণ নিয়ে অখুশি নন বলেও জানায় ফ্রান্স।
ফ্রান্সের কাছে ওই হারের কারণে ফাইনালের শেষটা দেখেননি কোর্তোয়া। ফ্রান্সের উদযাপন দেখতে চান না জানিয়ে কোর্তোয়া বলেন, ‘যখন ম্যাচের ৯৪ মিনিট ছিল তখন আমি টিভি বন্ধ করে দেই। ফ্রান্স তাদের জয় উদযাপন করছে এটা দেখতে চাই নি। তবে আমি সবটা মিস করতেও চাই নি।’ তাদের জয় উদযাপন শেষ হয়ে গেলে পুরস্কার বিতরণী দেখেন বলেও জানান কোর্তোয়া। তিনি বলেন, ‘আমার সতীর্থরা যখন বলেন যে তাদের উদযাপন শেষ হয়েছে তখন আবার আমি টিভির পর্দা খুলি।’
ফাইনালে ম্যাচে ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস ছেলেমানুষী এক ভুল করেছেন। আর তাতে মানজুকিচ গোল করে ব্যবধান ৪-২ করেন। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক দানিয়েল সুভাসিচও ফাইনাল ম্যাচে সেরা ফর্মে ছিলেন না। ঠিকঠাক অবস্থান না নিতে পারার এমবাপ্পে, পগবার গোল হজম করেছেন তিনি। যদিও শট দুটি ছিল দারুণ। অন্যদিকে বেলজিয়াম গোলরক্ষক কোর্তোয়া রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল সেভ করায় গোল্ডেন গ্লোভস জিতেছেন।