মধু নষ্ট হওয়ার কারণ কি

সবুজ বাংলা ডেস্ক//
ডায়াবেটিস রোগী এবং যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য মধু পরম বন্ধু। তবে চাহিদা বাড়ার কারণে মধুতেও ভেজাল এসেছে, সঙ্গে এসেছে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা। ফলে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, মধুও কি নষ্ট হতে পারে.
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এ বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মধু নষ্ট হওয়ার কারণ ও সংরক্ষণে কী ধরনের সাবধানতা নিতে হবে সে সম্পর্কে জানানো হলো।
মধু অম্লীয় হওয়ায় ই-কোলি ও সালমোনেলা ধরনের ব্যাকটেরিয়া এর সংস্পর্শে এলে নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদানও রয়েছে যা অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকার জীবাণুর বেড়ে ওঠা রোধ করে।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে মধু নষ্ট হতে পারে। যেমন- মধু দূষিত হলে। এই দূষণের কারণ হতে পারে বাহক মৌমাছির হজমতন্ত্র কিংবা ফুলের চার পাশের পরিবেশ। দ্বিতীয় স্তরে মধু নষ্ট হওয়ার কারণ হলো- যে বয়াম বা কৌটায় মধু সংরক্ষণ করা হয় সেটা যদি নোংরা হয় বা অস্বাস্থ্যকর হাতের সংস্পর্শে এলে, কিংবা মধুতে নোংরা পানি মিশে গেলে।
পরাগায়নের সময় মৌমাছি যখন ফুলের ওপর বসে মধু আহরণ করে, তখন ওই গাছ থেকে বিষাক্ত কোনো উপাদান মৌমাছি গ্রহণ করে ফেলতে পারে। এই ধরনের উদ্ভিদ থেকে পাওয়া মধু খেলে বমিভাব, মাথা ঝিমঝিম এবং রক্তচাপজনীত জটিলতা দেখা দেয়।
কোন পাত্রে মধু সংরক্ষণ করা হচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক পাত্রে সংরক্ষণ করা না হলে মধুর ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল’ উপাদান হারাবে, যা অণুজীব বেড়ে ওঠা রোধ করে।
মধু দীর্ঘদিন খাওয়ার যোগ্য রাখতে এবং তার পরিমাণ বাড়াতে বর্তমানে নানান ধরনের ভেজাল মেশানো হয়। এই পদ্ধতিতে মধুতে যোগ করা হয় পানি থেকে শুরু করে কর্ন সিরাপসহ বিভিন্ন উপাদান। ক্রেতার মনোরঞ্জনের জন্য পরিবর্তন আনা হয় মধুর প্রাকৃতিক প্রস্তুত প্রক্রিয়াতেও। আর এ কারণেই মধু দ্রুত খাওয়া অযোগ্য হয়ে যায়। মধু সংরক্ষণ করতে হবে বায়ুরোধী পাত্রে। আর পাত্রটি রাখতে হবে ঠাণ্ডা এবং শুকনা জায়গায়।