কার হাতে উঠবে ২০১৮ বিশ্বকাপ

মাইফ আহসান জেমো//
রাশিয়ায় এবছর বসেছে ২১ তম বিশ্বকাপের আসর। পুরো বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের চোখ রাশিয়ায়। “গ্রেটেস্ট শো অন দা আর্থ” খ্যাত এই টুর্নামেন্টে যে যার দলকে দিয়ে যাচ্ছে সমর্থণ। যাদের দল খেলছে বিশ্বকাপে তারা নিজের দেশকে সমর্থন দিতে ছুটে গিয়েছে রাশিয়ায়। স্টেডিয়ামে বসে কখনো জয়ের উন্মাদনায় মাতছে আবার কখনো বা হারের গ্লানি নিয়ে ফিরছে।

এশিয়ার ফুটবল অন্যান্য মহাদেশের থেকে একটু মন্থর হবার কারনে এশিয়ার ফুটবল প্রেমীরা ল্যাটিন আমেরিকা অথবা ইউরোপের বড় দলগুলোকে সমর্থণ দেয়। বিশেষ করে দক্ষিন এশিয়ার মানুষ ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে বেশি মাতামাতি করে। মেসির জাদুতে যেমন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা মেতে ওঠে তেমনি ব্রাজিলের নেইমারের নৈপুন্য সাথে সাম্বা ফুটবলে ব্রাজিল সমর্থকরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। তবে তর্ক করার সময় নিজের দলকে সেরা করতে দুদলের সমর্থকরাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে। সাথে চলে পতাকা এবং জার্সি নিয়ে প্রচারনা। দুদলের সমর্থকরা তার দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য প্রার্থনা করছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সে এদুদলের বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে জেগেছে শংকা। আর্জেন্টিনা দুটি ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পায় নি । ব্রাজিল একটি ম্যাচে জয় পেলেও সাম্বা ফুটবলের ছোয়ার কোথায় যেন একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

বড় দল গুলো কেন যেন রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদের রশ্মি ছড়াতে পারছে না। এদিক থেকে ছোট দলগুলো বড় দলগুলোকে নাস্তানুবুদ করে ছাড়ছে । মেক্সিতো তো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়েই দিল । আর্জেন্টিনা ড্র করেও যেন পরাজিত হল আইসল্যান্ডের কাছে।

রং ছড়াচ্ছে স্বাগতিকরা । দুম্যাচেই তাদের দলীয় গোল সংখ্যা ৮ । ভাল কিছু করার জন্যই এবার তারা মাঠে নেমেছে । পুতিন সাহেব মনে হয় এবার কাপ নিজের দেশে রাখতে সব ধরনের উৎসাহই দিয়ে যাচ্ছেন দলকে। আর স্বাগতিকরা বিশ্বকাপ শক্তিশালী দল এবং বিশ্বকাপ জেতে এরকম তো আমরা ইতালি,জার্মানি, ফ্রান্স,আর্জেন্টিনা,ইংল্যান্ডের বেলায় দেখেছি। শেষ ১৯৯৮ সালে স্বাগতিক হিসেবে ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতেছে। রাশিয়া কি পারবে ষষ্ঠ দল হিসেবে স্বাগতিক হিসেকে সে গৌরব অর্জন করতে? নাকি বিশ্বকাপ চলে যাবে দক্ষিন আমেরিকায়? নাকি ইউরোপের ডিফেন্সিভ ফুটবল এবার শেষ তিনবিশ্বকাপের মত কাপ ইউরোপেই রেখে দিবে? সব সমীকরন মিলবে ফাইনালের দিন।