ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পানামা

রাজু ফকির,স্টাফ রিপোর্টার//
সাবেক চ্যাম্পিয়নরা পেল বিশ্বকাপে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়। নিজনি নভগোরোদে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। এর আগে বিশ্বকাপে চারবার তিন গোলের ব্যবধানে দলটি। পেনাল্টি থেকে দুটি গোল পাওয়া হ্যারি কেইন করেন হ্যাটট্রিক। জোড়া গোল করেন জন স্টোনস। অন্য গোলটি জেসি লিনগার্ডের। পানামার এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গেল বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ডের।
নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে গতকাল রোববার প্রথম ভালো সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অষ্টম মিনিটে কিরান ট্রিপিয়ারের কর্নারে চমৎকার হেড জালে পাঠান অরক্ষিত স্টোনস। দেশের হয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডারের এটাই প্রথম গোল। ২২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। ডি-বক্সে লিনগার্ডকে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান আরো বাড়ান লিনগার্ড। ৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার।
৪০তম মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রস ডি-বক্সে হেড করে নামিয়ে কেইন দেন রাহিম স্টার্লিং। ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ডের হেড গোলরক্ষক কোনোমতে ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে হেড করে জাল খুঁজে নেন স্টোনস।
যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোলটি করেন কেইন। আনিবাল গোদোয় ইংলিশ অধিনায়ককেই ফাউল করায় স্পট কিকের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। বিশ্বকাপে এই প্রথম ইংল্যান্ড প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে ৬ বার বল পাঠাতে পারল। ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে এ নিয়ে মাত্র পঞ্চমবার ৬ বা তার বেশি গোল হলো।
৬১তম মিনিটে সৌভাগ্যপ্রসূত এক গোলে হ্যাটট্রিক হয়ে যায় কেইনের। রুবেন লফটাস-চিকের শট তার গোড়ালিতে লেগে দিক পাল্টে জালে চলে যায়। দেশের হয়ে সবশেষ ৯ ম্যাচে এ নিয়ে ১৩ গোল করলেন কেইন।
এবারের আসরে এ নিয়ে পাঁচ গোল করে গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে উঠে এলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। চারটি করে গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও রোমেলু লুকাকু আছেন তার পেছনে। জিওফ হার্স্ট (১৯৬৬) ও গ্যারি লিনেকারের (১৯৮৬) পর ইংল্যান্ডের মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার পরপরই মাঠ ছাড়েন কেইন।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই কমে খেলার গতি। একটু ঢিলেভাব দেখা যায় ইংল্যান্ডের রক্ষণে। তারই সুবিধা নিয়ে ৭৮তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে ফেলে পানামা।