লুটের জন্যই এই বাজেট-বিএনপি

0
(0)

এস এম রহমান হান্নান স্টাফ রিপোর্টার//
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন প্রস্তাবিত বাজেট জনকল্যাণমূলক না হওয়ায় জনগণ হতাশ হয়েছে। তারা যেহেতু জনগণের সরকার নয়, আর এই এমপিরা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন, তাই তাদের কাছ থেকে জনকল্যাণমূখী বাজেট আশা করা যায় না। প্রস্তাবিত বাজেট মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।লুটপাটের জন্যই এ বিশাল বাজেট পেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাজেট বড় করা হয়েছে। বাজেটের আকার বড় করে জনগণের সঙ্গে ধাপ্পাবাজি করা হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়ন অসম্ভব। এটা মানুষকে বোকা বানানোর বাজেট, এটা প্রতারণার বাজেট। আপনারা দেখেছেন গত অর্থবছরেও ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছিল। কি দেখলাম লুটপাট আর হরিলুট। সারা দেশের রাস্তা ঘাটের দিকে তাকান। দেশের ৮৫ হাজার কি. মি. সড়ক বর্তমানে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। অথচ মেগা প্রকল্পের নামে তারা বাঘা দুর্নীতি করেছে। গতবার এত বিগ বাজেট দেয়ার পরও বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে। আর দেশের উত্তরাঞ্চলের হতদরিদ্রের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারেও অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে শুধু লুটপাটের জন্য। প্রস্তাবিত বাজেটেও মেগা দূর্নীতির জন্য সকল পথ খোলা রাখা হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিদ্যমান।
রিজভী অারো বলেন, বাজেটে যে বড় ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করা অসম্ভব। সেজন্য ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের ওপর ঝুঁকতে হবে সরকারকে। প্রস্তাবিত বাজেট কর, ঋণ আর বিদেশী অনুদান নির্ভর। বাজেটে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা আদায় করা হবে। যা জনগণের রক্ত চুষে আদায় করতে হবে। তাই এক কথায় বলা যায় প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের রক্ত চোষার লুটের বাজেট। চলতি আয়-ব্যয়ে বিশাল ঘাটতি থাকবে, কারণ আমদানি ব্যয় বাড়ছে, রফতানী আয় কমছে। রফতানী আয়ের তুলনায় আমদানী ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূলস্ফীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বাজেটে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। দেশে সুশাসন না থাকায় বর্তমানে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ রয়েছে। শেয়ার মার্কেট থেকে বিদেশী বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছে। বর্তমানে দেশে কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। বাজেটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তেমনভাবে না রাখায় বেকার সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে সকল জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। বাড়ীঘরের ট্যাক্স বাড়বে, বাসাভাড়া বাড়বে, ফলে সামগ্রিকভাবে নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়বে। কারণ মূল্য সংযোজন করের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.