সবুজ বাংলা ডেস্ক//
ভ্যাপসা গরমে নিজের প্রতি খেয়াল না রাখলে বেড়ে যায় ডায়রিয়ার ঝুঁকি। আর এই গরমের মাঝে ডাইরিয়া হলে তা অবহেলা না করে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় সামান্য ডাইরিয়া হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ।
এই গরমে ডায়রিয়াসহ আরো বেশ কিছু সমস্যায় রোগীদের ভিড় জমতে শুরু হয় হাসপাতালে। ভ্যাপসা গরমে যখন মানুষের গলা শুকিয়ে যায়, ঠিক তখনই চোখের সামনে যে ঠাণ্ডা পানীয় থাকে তা চোখবুঝে পান করতে আগ্রহী হয়ে উঠি আমরা সবাই। দেখার সময় থাকে না তা বিশুদ্ধ নাকি দূষিত। আর এ কারণেই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। শুরু হচ্ছে পাতলা পায়খানা।
গরমে ডায়রিয়া হলে যা করবেন
১. প্রতিবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর বয়স অনুযায়ী পরিমাণমতো খাবার স্যালাইন পান করতে হবে। (জন্ম থেকে দুই বছর: ১০-২০ চা চামচ বা ৫০-১০০ মি.লি.; দুই বছর থেকে ১০ বছর: ২০-৪০ চা চামচ বা ১০০-২০০ মি.লি.; ১০ বছর বা তার বেশি বয়সে: যতটুকু খেতে পারে।)
২. খাবার স্যালাইন ছাড়াও তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, ঘরে তৈরি ভাতের মাড়, চিড়ার পানি অথবা তাজা ফলের রস ইত্যাদি খেতে পারেন।
৩. এর পাশাপাশি চেষ্টা করতে হবে স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যাবার।
৪. বুকের দুধ খাওয়া শিশুরা খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বুকের দুধও খাবে।
৫. পাতলা পায়খানার সাথে বমি হলে এবং কিছু খেতে না পারলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে যেতে হবে।
রোগের চিকিৎসার থেকে প্রতিরোধ সহজ, তাই ডায়রিয়া হওয়ার আগেই নিজেকে সতর্ক রাখুন কিছু বিষয় থেকে-
১. রাস্তায় খোলা শরবত, পানি এবং খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. গরমে পুরাতন খাবার খাবেন না।
৩. ঘরে ফিরে হাত ভালোভাবে সাবান বা জীবাণুনাশক লোশন ব্যবহার করে পরিষ্কার করে তারপর খাবার খাবেন।
৪. গরমের মাঝে যথা সম্ভব ঠাণ্ডা পানীয় বর্জন করুন।
৫. শিশুকে বোতলে রেখে দেয়া দুধ পান করাবেন না, বোতলে রেখে দেয়া দুধ পুনরায় জ্বাল দিয়ে পান করানো থেকেও বিরত থাকতে হবে।
৬. ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
৭. স্বাস্থ্য সম্মত টয়েলট ব্যবহার করতে হবে।