কমলগঞ্জে রমজান মাসে চাহিদা বেশী মুম্বাই জিলাপীর

0
(0)

জয়নাল আবেদীন,কমলগঞ্জ //
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় রমজান মাসে ইফতারে চাহিদা বেশী মুন্বাই জিলাপি, নুডুলস পাকুড়া, বেগুনী আর বিরিয়ানি। প্রতিটি বাসার ইফতার সামগ্রীর পাতলা জাউ, খিচুড়ি, ছোলা ও পিয়াজির সাথে এসব স্বাদযুক্ত খাবারের চাহিদা রয়েছে। ইফতার সামগ্রী বেশীহারে বিক্রি হতেও দেখা গেছে। বেলা ১টার পর থেকে নানান নামের দোকানগুলিতে ইফতার সামগ্রী সাজিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছেন ব্যবসায়ীররা। সরজমিন দেখাযায় প্রতিদিন দুপুর থেকে মাগরেবের আজানের পর্যন্ত ইফতার সামগ্রীর দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ও হাট শমমেরনগরে বুধবার (৩০ মে) সাপ্তাহিক হাটের দিন চৌমুহনাস্থ মৃদুল রেস্তোরাঁ, বাদার্স ইফতার বিক্রয় কেন্দ্র, রাজমহল, স্বাদ, মিঠাই ঘর, বেঙ্গল ফুডের একাধিক দোকানে মুন্বাই জিলাপী, নুডুলস পাকুড়া আর সাথে রয়েছে মিষ্টি নিমকি। এর মাঝে শমশেরনগরের ঐতিহ্যবাহী জয়গুরু মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি ও নিমকির চাহিদা আলাদা। রয়েছে মিষ্টি দইয়ের চাহিদাও। এছাড়াও শমশেরনগরে মৌসুমী ইফতার সামগ্রী বিক্রেতারাও বিভিন্ন সড়কধারে এসব ইফতার সামগ্রী সাজিয়ে বিক্রি করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের ভানুগাছ চৌমুহনায় গ্রামের বাড়ি রেস্তোরাঁ এন্ড চাইনিজ, পানাহার,স্বাদ ও রাজমহলেও এসব নানা স্বাদের ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বেশী। কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনায় শাহজালাল রেস্টুরেন্ট-এ এসব ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বেশী। শমশেরনগর মৃদুল রেস্তোরাঁর স্বত্তাধিকারী হাজী আকমল হোসেন জানান, সারা বছর তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ভাল হয়। তবে রমজান মাসে এলাকার সবচেয়ে বেশী এবং উল্লেখযোগ্যহারে এসব ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয়। তিনি গরম মুন্বাই জিলাপি বিক্রি করেন বেশী। প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মিষ্টি ১৫০ টাকা ও নিমকি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
ব্রাদার্স ইফতার বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্তাধিকারী আব্দুর কাইয়ূম বাবুর্চি বলেন, তিনি শুধু রমজান মাসে এসব স্বাদযুক্ত ইফতার সামগ্রী তৈরী করে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি মিষ্টি ১৫০ টাকা, নিমকি ১০০ টাকা, বিরিয়ানি প্রতি প্লেট ৩০ টাকা, আলুর চপ, বেগুনি, পিয়াজি সব মিলিয়ে প্রতি প্লেট ৬০ টাকা। আলুর চপ প্রতি পিচ ৫টা, বেগুনি ৫টাকা, বিভিন্ন শাকের তৈরী বড়া ৫টা টাকা করে বিক্রি করছেন।
এসময় আলাপকালে ক্রেতা এম এ ওহাব, নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাসায় ইফতার সামগ্রী তৈরী হলেও বাজারের রেস্তোরাঁর তৈরী এসব স্বাদের ইফতার সামগ্রী কিছু কিনে নিতে হয়। তার সাথে যুক্ত থাকে মৌসুমী ফল আম, তরমুজ, আপেল, লিচু ও খেজুর। ক্রতা নজুরুল ইসলাম খান আরও বলেন নিজেদের ইফতার কিনে খাওয়ার সাথে মেয়ের বাড়িতেও বেশ আয়োজন করে ইফতার সামগ্রী পাঠাতেও হয়। উপজেলার মুন্সীবাজার, আদমপুর, শহীদনগর ও মাধবপুর বাজারেও এসব ইফতার সামগ্রীর বিক্রি হচ্ছে রেস্টুরেন্ট সমুহে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.