কমলগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি ॥ প্লাবিত নি¤œাঞ্চল

জয়নাল আবেদীন,কমলগঞ্জ
টানা বৃষ্টিতে ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের পূর্বের দুটি ভাঙ্গন দিয়ে পানি বের হওয়ায় চার ইউনিয়নের ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন নিমজ্জিত হয়েছে। বৃষ্টি না থামলে ধলাই নদীসহ সবগুলো পাাহাড়ি ছড়ার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কমলগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ধলাই নদীসহ সবগুলো পাাহাড়ি ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকালে মাধবপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রাম এলাকায় বাঁধের পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে ও চৈতন্যগঞ্জ গ্রাম এলাকার ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে পানি দ্রুত প্রবেশ করছে ফসলি জমিতে। প্রবেশ করা ঢলের পানিতে চৈতন্যগঞ্জ গ্রামে কমপক্ষে ৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন নিমজ্জিত হয়েছে।

ধলাই নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামপুর ইউনিয়নে ডলুয়াছড়া ও নঈনাছড়া দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি উল্টো কালারাই বিল, নোয়াগাঁও, পাথারীগাঁও, শ্রীপুর, ভান্ডারীগাঁও ও উত্তর গুলের হাওর গ্রামের ব্যাপক এলাকার ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে। তাই এসব গ্রামের দেড় শতাধিক হেক্টর জমিতে এবং মাধবপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকার ২৫ হেক্টর জমির রোপিত রোপা আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান টানা বৃষ্টিতে ধলাই নদের চৈতন্যগঞ্জ গ্রাম এলাকার পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক এলাকার ফসলি জমি নিমজ্জিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যেভাবে পানি প্রবেশ করছে তামে মনে হয় আরও ব্যাপক এলাকা তলিয়ে যাবে।

এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ কুমার সিংহ বলেন, টানা বৃষ্টিতে ধলাই নদের পানি প্রবেশ করে ইসলামপুর, মাধবপুর, আলীণগর ও কমলগঞ্জ ইউনিয়নের ৩০০ হেক্টর জমির রোপিত রোপা আমন নিমজ্জিত হয়েছে। আগামী এক দিনের মধ্যে এসব জমির পানি না কমলে রোপিত ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, টানা বৃষ্টির কারনে ধলাই নদীসহ সবগুলো পাহাড়ি ছড়ার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বৃষ্টি না থামলে ও উজানে এভাবে বৃষ্টি হলে ধলাই নদী ও পাহাড়ি ছড়ার পানি বেড়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। এ দিকে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক নজর রাখছে।