কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১৩

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)সংবাদদাতা//
কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিসহ দু’পক্ষের ১৩ জন আহত হন। ভাংচুর করা হয়েছে কলেজের আসবাবপত্র। এ ঘটনায় কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের বিকালের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কলেজ চত্বরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও প্রতিপক্ষ গ্রুপ পুলিশের পক্ষপাতমুলক আচরন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে ও কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম রাজ জানান, ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব গ্রুপের মুন্না, নাইম, নাহিদসহ আরও কয়েকজনের সাথে সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল গ্রুপের রাফি’ টিপু ও সায়েমের কথাকাটির এক পর্যায় সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষ লাঠি ও চাকু নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল এবং সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব উভয়েই সহযোগীদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। উভয় গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়।
খরব পেয়ে কমলগঞ্জ থানার এস আই চম্পক ধাম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কলেজ ক্যাম্পাসে আসলেও পুলিশের উপস্থিতিতে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারন করে। সংঘর্ষে কমলগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম, রাফি, সাইফুর রহমান টিপু, সোহাগ, নয়ন তানভীর, সামাদ, জয় ও সাফি আহত হয়। অপর পক্ষের সাব্বির হোসেন মুন্না, নাইম, নাহিদ, কামরুল ও রফি আহত হন।
অন্যান্য আক্রান্তরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিকালের পরীক্ষা স্থগিত করা হয। আহত আব্দুল হাকিম ও রাফি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও গুরুতর আহত সাব্বির হোসেন মুন্না সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অন্যান্য আহতরা কমলগঞ্জ ও মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। ঘটনার পর উপজেলা চৌমুহনায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে দায়ীদের শাস্তি দাবী করে। আপর পক্ষ ভানুগাছ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছে।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল বলেন, সাধারণ সম্পাদক সাকের আলী সজিব ও জাকির হোসেন পান্না পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক কলেজের পরিবেশ অশান্ত করার জন্য হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক সাকের আলী সজিব বলেন, ১৩ মে কলেজে ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। ১৪ মে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল ছাত্রদলের কয়সর, জুলিসহ অন্যান্যদের সেল্টার দিয়ে ছাত্রলীগের মুন্না, নাহিদ, নাইমদের উপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ন অপ্রত্যাশিত। গভর্নিং বডির তবে পুলিশকে অবগত করা হলেও তারা আসতে দেরী করে। পুলিশ সময়মতো আসলে বিষয়টি বড় হতো না। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোকতাদির হোসেন পিপিএম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।