সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা

হযরত আলী হিরু, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার কুড়িয়ানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি জমি জবর দখল করার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে উজ্জল বড়াল নামের এক প্রভাবশালী ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জমি দখল প্রতিহত করতে শনিবার রাতে এলাকাবাসিকে নিয়ে বৈঠক করেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং কমিটি। বৈঠকে আটঘর কুড়িয়ানা ইউপি চেয়ারম্যান শেখর কুমার সিকদার দাবী করে বলেন ভুয়া দলিল দেখিয়ে স্কুলের জমি দখলের পায়তারা করছে বানারীপাড়ার প্রভাবশালী উজ্জল বড়াল। চেয়ারম্যান বলেন মৃত নিশিকান্ত সিকদারের ছেলে নারায়ন সিকদার ও মেয়ে ছান্দি সিকদার সেই ছান্দিকে নিশিকান্তের উত্তরাধীকারী দেখিয়ে তাকে দাতা বানিয়ে এ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রমেন সিকদার একটি দলিল করেন। পরে দেশ ত্যাগ করে ভারতে যাবার পূর্বে সেই জমি উজ্জল বড়ালের কাছে বিক্রি করলেও তা তিনি এখনও নামজারী করাতে পারেনি। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রয়সুত্রে জমির মালিকানা দাবী করে বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা উজ্জল বড়াল ওই বিদ্যালয়ের সামনের তিন শতাংশ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান করতে ইট বালু এনে জড়ো করেছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জমিতে অন্তত ২০ টি দোকানঘর নির্মান করে ব্যাবসা করছে অনেক দখলদার। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী রানী সিকদার জানান ১৯৬৩ সালে জ্ঞানেন্দ্রনাথ সিকদারসহ ১৪ জন গন্যমান্য ব্যাক্তি এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য এক একর জমি দান করেন। ওই এক একর জমির মধ্যে থেকে বর্তমানে বিদ্যালয়ের দখলে আছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ জমি। ২০১০ সন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পক্ষে এক একর জমির খাজনা ভুমি অফিসে পরিশোধ করা হয় । প্রধান শিক্ষিকা আরও বলেন ২০০৪ সালে সেইসময়কার প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ মন্ডলের কাছ থেকে অনেকে বিদ্যালয়ের সাথে ১ বছরের চুক্তিপত্র করে বিদ্যালয়ের জমিতে দোকান ঘর নির্মান করেন। চুক্তিপত্রে দোকান ১ বছর মেয়াদে ও প্রতিবছর নবায়ন সহ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে জমি ছেড়ে দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে ওইসব দোকান মালিকরা জমির মালিকানা দাবী করে সরকারি জমি নিজেদের দখলে রেখেছেন। প্রধান শিক্ষিকা আরও জানান বিদ্যালয়ের সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারী নেছারাবাদ ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারের (ভুমি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বিদ্যালয়ের সামনের জমি দখলের বিষয় উজ্জল বড়াল বলেন বিদ্যালয়ের কোন জমি আমি ক্রয় করিনি আমি টাকা দিয়ে রমেন সিকদারের কাছ থেকে জমি কিনেছি । এ ব্যাপারে ইউএনও আবু সাঈদ বলেন, আবেদন পাওয়া গেছে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য এসিল্যন্ডের কাছে প্রেরন করা হয়েছে।