কমলগঞ্জে তিনদিনব্যাপী ইন্দো-বাংলা মণিপুরী সংস্কৃতি উৎসব উদ্বোধন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি//
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। একুশ শতকের জন্য উপযুক্ত রাষ্ট্র তৈরী করতে চাই জ্ঞান, মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকরণে আমরা সাম্প্রতিককাল অতিক্রম করেছি। বাঙালী জাতিকে প্রকৃত ঠিকানায় ফিরিয়ে আনতে চাই। সকলের বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ব, পারিবারিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার, যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না, এ ধরণের একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এখন অনেক দুর এগিয়ে গেছে, তবে সামনে আরও অনেক পথ বাকী আছে। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের তেতইগাঁও মণিপুরী কালচারেল কমপ্লেক্স্র প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী ইন্দো-বাংলা মণিপুরী সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম, এ, মান্নান এমপির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জয়ন্ত কুমার সিনহার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রবি কিরণ সিনহার পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শশী কমুার সিনহা, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বিপিএম, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, ভারতের মণিপুর রাজ্যের জেনিথ একাডেমীর পরিচালক ও দেশপ্রেমী লেখক ফোরামের সদস্য ড: এস মানাঙথন সিংহ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তফাদার রিজুয়ানা ইয়াসমীন সুমী, আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদাল হোসেন ও প্রাণ আরএফএল কোম্পানীর ব্র্যান্ড ম্যানেজার সামিউল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স এর সদস্য নীলচাঁদ সিংহ।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মণিপুরী কালচারাল একাডেমীতে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্দো-বাংলার মনিপুরীদের সোসিও ইকোনমিক-সংস্কৃতি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ বিষয়ক সেমিনার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ভারতের মণিপুর রাজ্যেও পিএডব্লিউএফ-এর সহ সভাপতি মাইসনাম করউহাঙবা লুয়াঙ। বিকাল সোয়া ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশের মণিপুরী কবিদের অংশ গ্রহনে কবিতা পাঠের আসর। সন্ধ্যা ৬টায় পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসব চলাকালে দুদেশের সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে চলবে পারস্পরিক মতবিনিময়। এছাড়াও রয়েছে মেলা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক, ইতিহাস-ঐতিহ্য, খেলাধুলা শিক্ষা, সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য প্রভৃতি গোটা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করা হবে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, ভারত ও বাংলাদেশে আবস্থানকারী মণিপুরী প্রতিনিধিত্বশীল শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেবেন।