আগৈলঝাড়ায় শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক জেলহাজতে
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
আগৈলঝাড়ায় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক শ্যামপ্রসাদ ঢালীর বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসের তদন্ত কমিটি গঠন, গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষককে শনিবার জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জানান, উপজেলা সদরের নগরবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যাম প্রসাদ ঢালীর বিরুদ্ধে ঘটনা তদন্তে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রিতিশ বিশ্বাসকে প্রধান করে এক সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আজ রবিবার তার কার্যালয়ে রিপোর্ট দাখিল করবেন বলেও জানান তিনি। তদন্তে সত্যতার প্রমান পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষক শ্যাম প্রসাদ ঢালীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার শুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি। শ্যাম প্রসাদ ঢালীর গ্রামের বাড়ি একই উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামে। শ্যাম প্রসাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নারী কেলেংকারীর বিস্তর অভিযোগসহ একাধিক বিয়ে করে স্ত্রী তাড়িয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে শনিবার নগড়বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল হক তালুকার। পরিদর্শনকালে তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। গতকাল শনিবার স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার হওয়া প্রধান শিক্ষক শ্যাম প্রসাদ ঢালীকে শনিবার দুপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। থানা পুলিশ প্রভাবিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শ্যাম প্রসাদ ঢালীর সহকর্মী শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতা।
গত ৮মার্চ অভিযুক্ত শিক্ষকের বাসায় অন্য কোন লোক না থাকার সুযোগ নিয়ে প্রাইভেট পড়া শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে শিশু সানজিদাকে পড়ার কথা বলে কৌশলে আটকে রেখে প্রধান শিক্ষক শ্যাম প্রসাদ ঢালী শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। ঘটনার কোন বিচার না পেয়ে ১৫দিন পর সানজিদার মা মারুফা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার শ্যাম প্রসাদ ঢালীকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেন, নং-৭ (২৩.৩.১৮)। ওই দিন দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী মো. নজরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে শ্যাম প্রসাদ ঢালীকে গ্রেফতার করেন।