সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটে ছাত্রলীগের উপর ছাত্রশিবিরের হামলা : আহত ২

সাইফুর রহমান শাকিল,স্টাফ রিপোর্টার।
সিলেট নগরির সোবহানীঘাটে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে জালালাবাদ কলেজের ভেতর এই ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আহমদ ও আবুল কালাম আসিফ। গুরুতর আহত শাহিন আহমদ আহমদকে ইতিমধ্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। জালালাবাদ কলেজে শিবিরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে জালালাবাদ কলেজ ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ে আনাগোনা বাড়ায় ছাত্রশিবির। এতে কলেজের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। যার কারণে, কলেজ ছাত্রলীগ প্রিন্সিপ্যালের নিকট মৌখিক অভিযোগ জানায়।
কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী ও স্থানীয়দের সাথে এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের বৈঠকও হয়। বৈঠকে ছাত্রশিবির ও বহিরাগতদের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এদের কারো সাথে কলেজের কারও যোগাযোগ না রাখার ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া হয়।
উক্ত বৈঠক পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল ছাত্রশিবির।
আজকের এই হামলা ছাত্রশিবিরের পরিকল্পিত বলে জানান আহত আবুল কালাম আসিফ। তিনি জানান, কলেজের দুজন শিক্ষক, এবাদ ও সাকু এই হামলায় জড়িত। তারা জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ঐ দুইজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় শিবিরের ফাত্তাহসহ হামলাকারীরা আজ ক্যাম্পাসে আসে বলে জানান আসিফ। তিনি ঐ দুই শিক্ষকের কাছ থেকে অন্যান্য তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও জানান।
আসিফ জানান, হামলাকারীদের কয়েকজন হ্যালমেট পরিহিত ছিল। বাকিরা হ্যালমেট ছাড়া ছিল। জালালাবাদ কলেজের পাশে অবস্থিত মা ও শিশু হাসপাতালের সিসি ফুটেজ পরীক্ষা করে এদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। এদের মধ্যে ফাত্তাহসহ অনেকেই চিহ্নিত ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসী, যাদেরকে তিনি আগে ক্যাম্পাসের আশেপাশে ঘুরতে দেখতেন বলে জানান আসিফ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ৮/৯ টি মোটর সাইকেল করে হামলাকারীরা শাহিন ও আসিফের কাছে পৌঁছে হাতের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে ঢলে পড়েন শাহিন ও আসিফ। হামলাকারীরা পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হামলাকারীদের একটি মোটর সাইকেল নাম্বার (সিলেট- ল ১১৮৫৭৫) চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলে জানান ঐ প্রত্যক্ষদর্শী।
নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।