কমলগঞ্জে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ

জয়নাল আবেদীন,কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি//
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়েছে। ৫ মার্চ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বড়চেগ গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে আলীনগর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী সানুর মিয়া (২৬) বিয়ের দিন ঘায্য করা হয়েছিল। এ জন্য বাড়ি ঘর সাজানো থেকে শুরু করে কনের বাড়িতে বিয়ের তোরণও নির্মাণ করা হয়েছিল। ঘটনাটি শুনে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থানার ওসিকে নিয়ে আকস্মিক অভিযান চালালে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রীটি। সে শমশেরনগর হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং বড়চেগ গ্রামের ইসমাইল মিয়ার মেয়ে।
কনে স্কুল ছাত্রী বলে বিয়েতে কোন ঝামেলা যাতে না হয় সে জন্য নতুন করে তার একটি জন্ম নিবন্ধন বানানো হয় জন্ম ২০০১ সাল উল্লেখ করে। অথচ বিদ্যালয় রেজিষ্টার অনুযায়ী দেখা যায়, ৩ জুলাই ২০০৩ সালে তার জন্ম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোত্তাদির হোসেন পিপিএম বড়চেগ গ্রামে অভিযান চালান। এ সময় শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানকালে কনে নবম শ্রেণির ছাত্রী ও জন্ম নিবন্ধন সঠিক নয় বিধায় এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে কনের (ছাত্রীর) বাবা ইসমাইল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ইউএনওর অভিযান শুনে বরপক্ষও আর বরযাত্রী নিয়ে আসেনি।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোক্তাদির হোসেন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলেই কনে স্কুল ছাত্রী। তাই নির্বাহী কর্মকর্তা মেয়ের বাবা ইসমাইল মিয়াকে আটক করে থানায় রেখেছেনে। নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরী ভিত্তিতে একটি সরকারী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এখনও পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি বলে ছাত্রীর বাবা এখনও থানা হাজতে আছে।
আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা ও শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ইউএনও’র হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণির ছাত্রী বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষার সত্যতা নিশ্চিত করেন।