ঝুকিপূর্ন আগৈলঝাড়ার তাজমহল সংরক্ষনের দাবি এলাকাবাসীর

মোঃ আহছান উল্লাহ
অতীত ঐতিয্যের স্মৃতি বিজড়িত বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত ফুলশ্রী গ্রামে বাংলার তাজমহল এখন ধ্বংসের পথে। তাজমহল ক্ষ্যাত এই স্থাপত্য শিল্পটি নির্মানের পর সংস্কারের অভাবে এখন ঝুকিপূর্ন আবস্থায় পরে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে শিল্পটিকে সংষ্কারসহ রক্ষনাবেক্ষনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসি ও পর্যটকরা।
গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে বাংলা ১৩৪৭ সালে জমিদার কামিনী গুপ্তের দ্বিতীয় পুত্র ডাঃ শরৎ চন্দ্র গুপ্ত তার পূর্ব পুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ বাড়ির পুকুর পারে ভারতের আগ্রার তাজমহলের আদলে ৭টি মূল স্তম্বের ওপর বর্গাকারে এ সমাধীটি নির্মান করেন। সমাধীর নামকরণ করা হয় কালিতারা নিত্যানন্দ স্মৃতি মন্দির । নির্মাণ সৈলির কারনে এ অঞ্চলের মানুষ এটিকে তাজমহল বলে আখ্যায়িত করেছে। সমাধিটি এমন ভাবে তৈরী যেদিক থেকেই দেখা হোক না কেন দেখতে ঠিক তাজমহলের ন্যায়। অনেক দুরদুরান্ত থেকে পর্যটকরা এই স্থাপত্য শিল্পটি দেখার জন্য এখানে আসেন।
তাজমহলের গায়ে খোদাই করে লেখা আছে আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুলশ্রী গ্রামের প্রভাবশালী জমিদার কামিনী গুপ্তের পুত্র ডা.শরৎচন্দ্র দাশ গুপ্ত কর্তৃক তার মাতা কালীতারাসহ বংশের যশোঃ প্রসাদাৎ ভূবি, প্রতক্ষ্য ভূতভুবি, দিষ্টা দাস গুপ্ত,পক্ষভুব সুন্দানী ও তাজমহলের পশ্চিম পাশে জ্যোতি কালী মোহন দাশ গুপ্ত,উত্তরে পিতৃসম সত্য মামা গুপ্তাসহ তিনটি চিতা রয়েছে। চার পাশে রয়েছে চারটি মিনার যা তাজমহলকে আরও মনোরম করেছে।
সুত্রমতে জমিদারের মৃতুর পরে বাড়ির পাহারাদার চন্দন দাসকে জমিদারের স্ত্রী কালিতারা সমস্ত সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দেন। বাকি সম্পত্তি নিমাই ডাক্তার নামে এক ব্যক্তি ভোগদখল করে আসছে। সুত্রটি আরো জানায় ২০০৫ সালে স্থানীয়রা তাজমহলের মধ্যে পানবরজের মালামাল রাখলে কে বা কাহারা আগুন ধরিয়ে দিলে এতে শিল্পটির অনে ক্ষতি হলেও অদ্যবদি কোন সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয় গৃহবধু নিলীমা দাস জানান বর্তমানে ওই জমিদারের ১৭ টি পরিবার ভারতে বিভিন্ন জাযগায় বসবাস করছেন। তিনি আরো জানান এ শিল্পটি যেমন রক্ষনাবেক্ষন করা দরকার তেমনি শিল্পটির সমস্ত সম্পত্তি উদ্ধার করে এখানে গরে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। কেননা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক লোক এখানে আসে এই মনোরম স্থাপত্য শিল্পটি দেখার জন্য।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শৈলেন দাস জানান এখন পর্যন্ত সংস্কার করার কথাত দুরের কথা আজ পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট কোন কর্তাব্যক্তি একদিন দেকতেও আসেনি। সমাধীর অনেক সম্পত্তি একটি প্রবাবশালী মহল অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে।